আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোরিয়ার মহিলা হোক কিংবা পুরুষ, সকলেরই চেহারা দেখলে মনে হয়, যেন আলোর ছটা বেরোচ্ছে। কাচের মতো মসৃণ ত্বকে দাগের ছিটেফোঁটাও নেই। অনেকেরই ধারণা, জিনগতভাবে কোরিয়ানরা স্বচ্ছ, চকচকে ত্বক পেয়ে থাকেন। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণভাবে সঠিক নয়। কোরিয়ানরা রূপচর্চা খুব নিখুঁতভাবে করে থাকেন। 

আসলে ত্বকের বিষয়ে কোরিয়দের চিন্তা-ভাবনা একেবারে ভিন্ন হয়। ত্বক নিয়ে সেদেশের মানুষেরা খুবই সচেতন। সঙ্গে প্রাকৃতিক উপাদানকেই তাঁরা বিভিন্ন প্রসাধনীর মূল উপাদান হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। আপনিও যদি কোরিয়ানদের মতো কাচের মতো ত্বক পেতে চান তাহলে নামীদামি প্রসাধনী নয়, চিয়া বীজকে সঙ্গী করতে পারেন। ওজন ঝরাতে, বিপাকহার ভাল রাখতে চিয়া বীজের জুড়ি মেলা ভার। তবে শুধু স্বাস্থ্যই নয়, ত্বকের যত্নেও চিয়া বীজ দারুণ উপকারী। কীভাবে এই বীজের প্যাক বানাবেন, জেনে নিন- 

একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজ নিন। বাটিতে হাফ কাপ দুধ মেশান। দুটি উপাদান ভাল করে মিশিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন। এবার ব্লেন্ডারে মিশ্রণটি নিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। শেষে মেশান ১ চা চামচ মধু। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে চিয়া সিডের ফেসপ্যাক। তৈলাক্ত ত্বক হলে দুধের বদলে চিয়া সিডকে গোলাপ জল দিয়ে ব্লেন্ড করতে পারেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই প্যাক লাগিয়ে ধুয়ে নিন। প্যাকটি একবার ব্যবহার করলেই ত্বকের জেল্লা বুঝতে পারবেন। 

চিয়া বীজে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। যা ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যাগুলি দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের ত্বক ভীষণ স্পর্শকাতর ও শুষ্ক, মুখে ব্রণর উৎপাত বেশি, তারা এই বীজ ভেজানো জলও মাখতে পারেন। সঙ্গে খেলেও উপকার পাবেন। চিয়া বীজ ত্বককে পরিবেশগত দূষণ, ফ্রি র‌্যাডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি, চিয়া বীজ মুখে বয়সের ছাপ পড়াও আটকে দিতে পারে। ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভূমিকা রয়েছে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি প্রাকৃতিক উৎস হল চিয়া বীজ। বয়স বাড়লেও ত্বকের টান টান ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে এই উপাদানটি।