আজকাল ওয়েব ডেস্ক: হেঁশেলে একদিন বাড়ন্ত মানেই মাথায় হাত।সবসময় তার চাহিদা এতটাই তুঙ্গে। মধ্যবিত্ত পরিবারের এই সব্জির উপস্থিতি থাকলেই মুশকিল আসান।আলুর প্রয়োজনীয়তা রান্নায় সর্বত্র।ভাজা থেকে দম, তরকারি থেকে মাছ-মাংস, এমনকি সেদ্ধ হলেও এক থালা ভাত শেষ হয়ে যায়।এত তৃপ্তি করে খাচ্ছেন যেই সব্জিটি, বাজার থেকে কেনার সময় কোন ভুল করছেন না তো?নকল আলু দাম দিয়ে কিনে নিজের শরীরের ক্ষতি করার আগেই সাবধান হন।জেনে নিন আসল আলু চেনার কিছু সহজ উপায়।
বাজারে সঠিক ও ন্যায্য দাম দিয়ে নকল জিনিসের বিক্রি এখন সাধারণ ঘটনা।বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার করে সেইসব নকল ও নিম্নমানের খাদ্যসামগ্ৰীকে আরও চকচকে ও আকর্ষণীয় করে তোলার রমরমা ব্যবসা চলছে। ইদানিং নকল আলুর ব্যবসা বেশ জমিয়ে চলছে।এই নকল আলুতে স্টার্চ, প্লাস্টিকের উপাদান ও নানা ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ করে একে খাওয়ার উপযোগী করে তোলা হচ্ছে।সেই আলু রান্না করে খেলে মানুষের ভয়ানক রোগ হতে পারে। খবরটি জানার পর আপনি বাজার থেকে আলু কিনতে দ্বিধাবোধ করলে এই সহজ কিছু কৌশল জেনে নিন, যার দ্বারা আপনি খুব সহজেই আসল আলু চিনতে পারবেন।
আলুর গড়ন ও রং হল আসল আলু চিনতে পারার অন্যতম উপায়।ভাল ও টাটকা আলু একটু অমসৃণ ও খসখসে হয়ে থাকে।কিন্তু নকল আলুর খোসা খুব মসৃণ ও কোমল হয়।তাছাড়া নকশাগুলো প্রচন্ড শক্ত ও হালকা ওজনের হতে পারে।আসল আলু থেকে একরকম মাটির সোঁদা গন্ধ ভেসে আসে কিন্তু নকল হয় গন্ধহীন।বিভিন্ন জাত অনুযায়ী আসল আলুর রং লালচে, বাদামী বা হলুদ হতে পারে।নকলের ক্ষেত্রে তা চকচকে ও উজ্জ্বল হয়।
আলু কেনার সময় আপনি হাতের মুঠোয় নিয়ে খেয়াল রাখবেন যে আসল আলু ওজনে একটু ভারী হয় কারণ জলের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি ঘন হয়।কিন্তু নকল আলু সিন্থেটিক উপাদানে তৈরি হওয়ায় জল কম থাকায় হালকা ওজনের হয়। তাছাড়া আলুর একটি টুকরো কেটে এক গ্লাস জলে ফেলে দিন।আসল আলুতে ঘনত্ব ও স্টার্চের পরিমাণ বেশি থাকায় জলের একেবারে নীচে চলে যায়।কিন্তু আলু নকল হলে জলের ওপর ভেসে বেড়াবে।
যেসব দোকানের ভাল মানের জিনিস বিক্রি করার সুখ্যাতি আছে সেই পরিচিত দোকান, চাষির খেত বা অর্গ্যানিক জায়গার আলু ব্যবহার অভ্যাস করুন।
