আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আধুনিক জীবনযাত্রায় কাজ আর বাড়ি-তাতেই যেন আবর্তিত হচ্ছে অনেকের জীবন। কখনও সংসারের চাপ, কখনও বা পাহাড় সমান জমে অফিসের কাজ। পেশাগত-ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলাই বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যস্ত জীবনের চাপ শুধু শরীর নয়, প্রভাব ফেলছে সম্পর্কেও। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানসিক চাপও। আর এই টানাপড়েনের মাঝে সঠিক কৌশল মেনে চললে বজায় থাকবে সম্পর্কের উষ্ণতা। 

১. অফিসের কাজ বাড়িতে আনবেন না। সারাদিন পর খানিকক্ষণ হলেও সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। মন দিয়ে তাঁর কথা শুনুন। আপনার কিংবা সঙ্গীর দিনভর কেমন কাটল, তা একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করুন। যে কোনও মানসিক টানাপড়েনের কথা মনের মধ্যে চেপে রাখবেন না। তাহলেই একে অপরের প্রতি অভিযোগ-অসন্তোষ থাকলে তা কথা বলে সমাধান করতে পারবেন। ছুটির দিনে যতটা সম্ভব অফিসের কাজ থেকে দূরে থাকুন। সপ্তাহের অন্তত একটা দিন সম্পর্কের যত্নে কাজে লাগান। 

২. অফিস-বাড়ি সামলিয়ে মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করুন। বেশিদিনের ছুটি না পেলে খুব দূরে যেতে হবে না। অন্তত দু’এক দিনের জন্য হলেও সমস্ত পিছুটানকে সরিয়ে দু’জনে নিরিবিলিতে সময় কাটান। দেখবেন রোজকার ব্যস্ততার মাঝে না বলা কথাগুলো সমুদ্র কিংবা পাহাড়ের নিস্তব্ধতায় ভাষা খুঁজে পাবে। 

৩. দাম্পত্য জীবনের একটি বড় দিক যৌনজীবনের সুখ। কাজের চাপে অনেক সময় শারীরিকভাবেও দম্পতিরা কাছাকাছি আসতে পারেন না। খেয়াল রাখতে হবে, সঙ্গীর চাহিদা আর আপনার ইচ্ছার মধ্যে যেন ভারসাম্য থাকে। যৌনতা নিয়ে রাখঢাক না রেখে খোলাখুলি কথা বলুন।

৪. দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর অনেক সময় একঘেয়েমি আসতে পারে। তাই নিজেদের নতুন করে আবিষ্কার করার চেষ্টা করুন। ছোট ছোট বিষয়ে একে অপরের প্রশংসা, সামান্য উপহার আদানপ্রদানেও সম্পর্কে বজায় থাকবে উষ্ণতা।

৫. সকলেরই নিজেকে সময় দেওয়ার প্রয়োজন হয়। আর সেই জায়গায় সঙ্গী ভাগ বসাতে চাইলে দমবন্ধ হয়ে উঠতে পারে সম্পর্কের বন্ধন। তাই নিজেও নিজের জন্য সময় রাখুন, সঙ্গীকেও সেই জায়গা দিন।