আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শরীর-স্বাস্থ্য আমাদের জীবনযাত্রার উপর নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে জটিল রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। যার জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস। সঙ্গে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা মানলেও সুফল পাওয়া যায়। তেমনই বহুবিধ জটিল শারীরিক সমস্যার সমাধানে কার্যকরী একটি পানীয়। নিয়মিত লেবু, আদা ও হলুদের পানীয় পান করলে বিভিন্ন জটিল রোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে কী কী উপকার পাবেন, জেনে নিন-
* লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা বাড়ায়। হলুদের কারকুমিন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধ করে আর আদার জিঞ্জেরল অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ক্ষমতা রয়েছে। ফলে ঠান্ডা লাগা, ফ্লু এবং ঋতুবদলের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।
* দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ যেমন জয়েন্টে ব্যথা বা আর্থরাইটিস, পেশির ব্যথা নিরাময়ে কারকুমিন ও জিঞ্জেরলের প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য কার্যকরী। লেবুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দেহে অতিরিক্ত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে কোষকে রক্ষা করে।
* লেবু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়, হলুদ অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে আর আদা বুক জ্বালা কমায় ও মলত্যাগের অভ্যাস ঠিক রাখে। তাই যারা গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপার মতো সমস্যায় ভোগেন তাঁরা এই পানীয় পান করলে উপকার পাবেন।
* গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোজ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে কিডনির পাথর থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালশিয়ামজাত পাথর তৈরি হতে দেয় না। হলুদ ও আদাও কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
* ভিটামিন সি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে দৃঢ় ও স্থিতিশীল রাখে। হলুদ ও আদা দুই ফ্রি র্যাডিক্যাল কমিয়ে ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে দেয়।
* আদা, হলুদ ও লেবুতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানের জন্য দিনের শুরুতে এই পানীয় পান করলে খিদে নিয়ন্ত্রণে থাকে, মেটাবলিজম বাড়ে এবং দ্রুত অতিরিক্ত মেদ ঝরে।
* রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে কুরকুমিন ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়, আদা গ্লুকোজ মেটাবলিজম উন্নত করে, আর লেবু রক্তে সুগারের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করে।
