আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করছেন না বা শরীরচর্চার কসরত করারও সময় নেই।কিন্তু দেখছেন আপনাআপনি ওজন কমছে অথবা কোন কারণ ছাড়াই পেট ফাঁপা বা ফুলে আছে মনে হচ্ছে।শরীরে ঘনঘন কালশিটে পড়লেও সতর্ক হন।
শুধু মদ্যপানেই সিরোসিস অফ লিভার হয় সেই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।বেশি পরিমাণে মদ্যপান অবশ্যই লিভারের শত্রু।লিভারে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু অনিয়মের কারণে ক্ষত তৈরি হয়।অজান্তেই আপনার লিভার অযত্নের শিকার হতে থাকলে লিভার সিরোসিস হয়, যা আপনার লিভারকে সম্পূর্ণভাবে খারাপ পরিনতির দিকে ঠেলে দেয়।অনবরত হজমের গোলমাল, বমিভাব বা অস্থির মনে হতে থাকলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমছে ধরে নিতে হবে।লিভারকে ডিটক্স করতে অনেকেই প্রচুর কসরত করে থাকেন।কিন্তু খুব সহজ কিছু অভ্যাসকে নিজের জীবনের মূল মন্ত্র করে নিতে পারলে লিভার সিরোসিস হওয়ার সম্ভাবনাকেই আটকে দেওয়া যায়।জানেন কি সেই জিয়নকাঠি?
মদ্যপানকে আস্তে আস্তে বাদ দিতে চেষ্টা করুন।পরিমিত বা একেবারেই বর্জন করলে সব থেকে ভাল।
ক্যান্ডি, মাশম্যালো, কুকিজ, ক্যারামেল, ডোনাট, আইসক্রিম, পেস্ট্রির মত উচ্চমাত্রায় চিনি দিয়ে তৈরি এইসব খাবার ডায়েট থেকে সম্পূর্ণ বাদ দিন।তালিকায় রয়েছে আরও কিছু পানীয়।যেমন স্পোর্টস ড্রিঙ্কস, বাইরের প্যাকেটজাত জুস, এনার্জি ড্রিঙ্কসের মতো পানীয় না খেলে লিভার সুস্থ থাকে।
সাদা পাউরুটি, পিৎজা, পাস্তা, ভাজাভুজি, প্রসেসড ফুড, জাঙ্ক ফুড বা ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার লিভারের কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়।তাই এইসব খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
পরিমাণে কম খাওয়া বা মাঝে মাঝে না খেয়ে থাকার অভ্যাস আপনার লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।টাটকা ফল ও শাকসব্জি, প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারকে নিজের রোজের ডায়েটে রাখুন।
রাতের ডিনার সেরে নিন খুব তাড়াতাড়ি।ডিনারে দেরি হলে খাবার হজম হওয়ার সমস্যা পেটে অ্যাসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা, মাথা ঘোরানো, বমিভাবের মতো সমস্যাগুলো সৃষ্টি করে।গরমের সময় রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস আরও জটিল করে তোলে।যার পরোক্ষ প্রভাব পড়ে আপনার লিভারের উপর।
চেষ্টা করুন, সারাদিনে যত বার খাবেন, ঠিক তত বারই শরীরকে যেন নড়াচড়া করানো হয়।খাবার পর হাঁটুন অন্ততপক্ষে ১৫-২০ মিনিট।দিনে ১০০০০ স্টেপ হাঁটতে পারলে লিভারকে কোন রোগ ছুঁতে পারবে না।সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।দিনে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম বাধ্যতামূলক।
