আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাস খানেক আগেই সন্তানের জন্ম দেন ইংল্যান্ডের দক্ষিণ ডার্বিশায়ারের বাসিন্দা জেস। কিন্তু সন্তানধারণের পর থেকেই অদ্ভুত একটি ঘটনা ঘটে ৩০ বছর বয়সি জেসের সঙ্গে। সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেক বেশি স্তন্য উৎপন্ন হতে থাকে তাঁর। বিষয়টি এতোটাই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছয় যে দুগ্ধ সংরক্ষণ করতে শুরু করেন তিনি এবং তাঁর স্বামী।

বোতল বোতল দুধ জমতে থাকে ফ্রিজে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ফ্রিজেও জায়গা ফুরিয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত উপায় না দেখে নিজের স্তন্য দান করার সিদ্ধান্ত নেন জেস। সংবাদসংস্থা বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জেস জানিয়েছেন, কোনও উপায় না দেখে বার্মিংহাম মিল্ক ব্যাংকে ফোন করেন তিনি। এই মিল্ক ব্যাংকে মাতৃদুগ্ধ সংরক্ষণ করা হয়। যে শিশুরা মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত, তাঁদের পুষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয়।

জেস জানিয়েছেন, তিনি প্রথম দফায় ১০ লিটার স্তন্য দান করেন। মাত্র ১৩ সপ্তাহের সন্তানের মায়ের এহেন পরিস্থিতিতে প্রথমে কিছুটা চিন্তিত ছিলেন চিকিৎসকরাও। তাই স্তন্য সংরক্ষণের আগে তাঁর রক্তপরীক্ষা করা হয়। তবে পরীক্ষায় দেখা যায় তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। এর পর বার্মিংহাম উইমেন্স অ্যান্ড চিলড্রেন হসপিটালের পক্ষ থেকে রীতিমতো স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে জেসের দুগ্ধ আহরণ করা হয়।

স্তন্যদান করে খুশি নতুন মাও। জেস জানিয়েছেন, তাঁর সন্তান ইতিমধ্যেই বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠেছে। যদি তাঁর স্তন্য পান করে অন্য শিশুরাও উপকৃত হয়, তবে তিনি মা হিসাবে খুশিই হবেন। বার্মিংহাম উইমেন্স হসপিটালের মিল্ক ব্যাংক টিমের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “আমরা সেই সমস্ত উদার মহিলাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাঁরা ছোট্ট শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে নিজেদের বুকের দুধ দান করেন।”