আজকাল ওয়েব ডেস্ক: শিশুর জন্ম দেওয়ার পর থেকেই মায়ের স্তন থেকে কলোস্ট্রাম বের হয়। যার পরিমাণ খুব অল্প। সেই সময় শিশুর খিদে মেটাতে বাইরের দুধ দেওয়া কখনই উচিত নয়।প্রসঙ্গত, শিশুর জন্মের পর ক্ষুধার্ত থাকে তাই সে মায়ের দুধ জোরে জোরে টানে। এই সাকিং এর ফলে, মায়ের মস্তিষ্ক থেকে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয় এবং ‘মিল্ক লেট ডাউন রিফ্লেক্স’-এর মাধ্যমে ব্রেস্টফিডিং শুরু হয়। কিন্তু যদি বাইরের দুধ দেওয়া হয়, তাহলে শিশু সাকিং করবে না এবং ব্রেস্টফিডিং চালু করা যাবে না।কোলোস্ট্রাম থেকেও শিশু বঞ্চিত হবে।
শিশু খিদের জন্য বারবার মায়ের স্তন থেকে বুকের দুধের খোঁজ করে। এই মাল্টিপল টাইম সাকিং-এর ফলে টানা বা নিয়মিত ব্রেস্ট ফিডিং পদ্ধতি শুরু হয়। ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এই পদ্ধতিতে একেবারে দেরি করা উচিত নয়। বাইরের কোনও পানীয় অথবা দুধ দিলে এই অভ্যাস তৈরি করা যায় না।
তাই শুরুতে প্রসবের পর যে অল্প অল্প পরিমাণে মায়ের স্তন থেকে কলোস্ট্রাম বের হয় সেটাই অল্প পরিমাণে বৃদ্ধি পায় এবং সম্পূর্ণ দুধের রুপ নেয়।কলোস্ট্রামের অনেক উপকারিতা আছে। প্রসবের পর মায়ের স্তন থেকে যে হলদেটে আঠালো নিঃসরণ হয় সেটাই হলো কলোস্ট্রাম। যেখানে হাইপ্রোটিন, লো ফ্যাট ও সুগার থাকে। কিন্তু কলোস্ট্রামে হোয়াইট ব্লাড সেলস প্রচুর পরিমাণে থাকার কারণে প্রচুর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এই অ্যান্টিবডিগুলো শিশুর ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। কলোস্ট্রাম খুব গাঢ় হয় ও পুষ্টিকরও। তাই অল্প করে শিশুর জন্য উপকারী।
মনে রাখবেন, শিশুর জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে অনেকেই শিশুর মুখে মধু দেন, এসবের বদলে স্তন্যপান করান। জন্মের পর প্রথম কয়েক ঘণ্টা সদ্যজাত শিশুরা সজাগ ও সক্রিয় থাকে। তাই এক ঘণ্টার মধ্যে স্তন্যপান করালে শিশুর সক্রিয়তা সম্পর্কে সজাগ হওয়া যায়। শিশুদের শারীরিক সুস্থতার ব্যাপারেও জানা যায়।
