আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছোটবেলায় এক দুর্ঘটনায় হারিয়ে ছিলেন দু’চোখের দৃষ্টি। তা সত্ত্বেও তাঁর ‘দিব্যদৃষ্টি’ সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে তাঁর একের পর এক ভবিষ্যদ্বাণী। তিনি বাবা ভাঙ্গা। দৈবশক্তিধারী এক অন্ধ বুলগেরিয়ান বাবা ভাঙ্গা ১৯৯৬ সালে মারা যান। তার আগে তিনি ৯/১১ হামলা থেকে শুরু করে প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যু, চেরনোবিল বিপর্যয়, এমনকী করোনা অতিমারি নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন, যা সবই মিলে গিয়েছে। অক্ষরে-অক্ষরে মিলিয়ে দিয়েছেন বিশ্বের বড় বড় সব অঘটন।

বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন , ২০২৫ সাল থেকে পৃথিবীর শেষের সূচনা হতে চলেছে। বিশ্বের 'ধ্বংসের সূচনা'র ইঙ্গিত দিয়েছেন দৈবশক্তিধারী। তবে ৫০৭৯ সাল পর্যন্ত মানব সভ্যতা সম্পূর্ণ বিলুপ্তির মুখোমুখি হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। 

শুধু চলতি বছরই নয়, ২০২৫ সালের পরের সময়েরও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বাবা ভাঙ্গা। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ২০২৮ সালে নতুন শক্তি তৈরি হবে। শুক্রে পৌঁছবে মানুষ। ২০৩৩ সালে প্রবলভাবে বেড়ে যাবে সমুদ্রের জলস্তর। আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য এক ভয়ঙ্কর বিপদের মুখোমুখি হবে মানবজাতি। 

এখানেই শেষ নয়, বাবা ভাঙ্গার আভাস রয়েছে, আগামিদিনে রাজনৈতিক অস্থিরতায় কাঁপবে গোটা বিশ্ব। ২০২৫ সালে ইউরোপে একটি উল্লেখযোগ্য সংঘাত হবে। যার ফলে ইউরোপের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে। রক্তক্ষয়ী সেই যুদ্ধ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেপ ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। 

মৃত্যুর আগে বাবা ভাঙ্গা আরও বলে গিয়েছিলেন, এতদিন ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব নিয়ে যে বিভিন্ন ধারণা ও কাহিনি প্রচলিত ছিল, এবার সত্যি মানবজাতির সঙ্গে তাদের দেখা হতে পারে। ২০২৫ সালে মানুষ ভিনগ্রহীদের সাক্ষাৎ পেতে পারে।

২০২৫ সালের শুরুতে ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা। যা ইতিমধ্যে মিলে গিয়েছে। বছরের প্রথমে অর্থনীতিতে যে মন্দার বাজার রয়েছে তাও ছিল ভবিষ্যদ্বাণীতে। চলতি বছরে খরা, বন্যা, তীব্র গরমের জেরে প্রচুর মানুষের প্রাণহানি হবে বলে জানিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা। বিশ্বকে নিজের হাতে রাখতে শক্তিশালী দেশগুলি নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে নামবে বলেও সতর্ক করেছেন বাবা ভাঙ্গা।