জ্যোতিষশাস্ত্র একটি প্রাচীন শাস্ত্র যা মহাকাশে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান দেখে মানুষের ভাগ্য, জীবনের ঘটনাগুলির পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা করে। মহাজাগতিক বস্তুগুলির অবস্থান এবং গতিবিধি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে বলে প্রচলিত বিশ্বাস। জ্যোতিষশাস্ত্রে যে কোনও গ্রহের রাশি-নক্ষত্র পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবার কখনও কখনও গ্রহের ঘর বদলে বিশেষ যোগ তৈরি হয় যা বিভিন্ন রাশির উপর শুভ-অশুভ প্রভাব ফেলে। যা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী শোনান জ্যোতিষীরা। তেমনই আগামী তিন দিন বেড়ানোর ক্ষেত্রে সর্তক করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ছেয়ে গিয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হওয়া বেশ কয়েকটি রিল এবং ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যে জ্যোতিষীরা ২৬, ২৭ এবং ২৮ জুলাই বেড়াতে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করছেন। শীর্ষস্থানীয় বৈদিক জ্যোতিষীদের মতে, এই তারিখগুলি জ্যোতিষশাস্ত্রের দিক থেকে বেশ মহাত্ম্যাপূর্ণ। আসলে এই তিন দিন গ্রহদের গতিবিধির বিরল সংমিশ্রণ হতে পারে যা থেকে মানুষের জীবনে সমস্যা তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে যারা বাড়ি থেকে যারা দূরে ভ্রমণ করছেন তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
আদৌ এই বিষয়টি কোনও সত্যতা আছে কিনা এবং এই সময়কাল আদপে ততটা বিপজ্জনক সেবিষয়ে ব্যাখ্যা করেছেন নুম্রোবাণীর প্রধান জ্যোতিষী সিদ্ধার্থ এস কুমার। তিনি জানিয়েছেন, ২৬-২৮ জুলাই ২০২৫-এর গোচর বিশ্লেষণকারী একজন জ্যোতিষী হিসেবে, আমি নিশ্চিত করতে পারি যে এই সময়কালে আরও সচেতনতা এবং সতর্কতা প্রয়োজন। বিশেষ করে ভ্রমণ, যন্ত্রপাতি ব্যবহার এবং আবেগগতভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে।

তিনি আরও বলেন, "মঙ্গল ও কেতুর সংযোগস্থল সিংহ রাশিতে অবস্থিত, কুম্ভ রাশিতে রাহুর ঠিক বিপরীতে রয়েছে। ফলে একটি অস্থির অক্ষ তৈরি করেছে যা আকস্মিক ঘটনা, যান্ত্রিক ব্যর্থতা, আবেগপ্রবণ ক্রিয়া এবং সংঘর্ষের জন্য পরিচিত। এটি একটি ধ্রুপদী এবং সুপরিচিত গ্রহের বিন্যাস।" তাঁর মতে, এতে বুধের বক্রীর ভূমিকা রয়েছে। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে বুধ প্রতিগামী এবং আস্ত যাওয়ায় যুক্তিসঙ্গত বিচার এবং যোগাযোগ প্রবাহকে দুর্বল করেছে। এই সময় ছয়টি গ্রহ প্রতিগামী হয় - বুধ, শনি, নেপচুন, প্লুটো, রাহু এবং কেতু। যার ফলে বিলম্ব, বিভ্রান্তি এবং পদ্ধতিগত অস্থিরতার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। যদিও এই কারণে যে ক্ষতি হতে পারে এমনটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তবে সতর্ক হয়ে থাকা উচিত। এই তিন দিন আপনি অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন এবং আবেগগতভাবে স্থির থাকুন। এই চ্যালেঞ্জিং পর্যায় অতিক্রম করার জন্য, জ্যোতিষী সিদ্ধার্থ প্রতিদিন "ওঁ দ্রম দত্তাত্রেয়ায় নমঃ" মন্ত্র জপ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
