আজকাল ওয়েবডেস্ক: যে কোনও খাবারে কৃত্রিম রং মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। হলুদ, দুধ কিংবা গোলমরিচে রং মেশানো নিয়ে তো অনেক অভিযোগ শুনেছেন, কিন্তু জানেন মুচমুচে ভেজাল মটরও দেদার বিকোচ্ছে বাজারে? নিত্যদিন রাস্তাঘাটে বেরলেই চোখে পড়ে সবুজ মটর। বাসে,ট্রেনে এই সবুজ মটর কিনে খান অনেকেই। চা-কফি কিংবা নরম পানীয়র সঙ্গে সবুজ মটর বেশ ভাল লাগে খেতে। আর এই মটর তৈরির প্রক্রিয়াতেই ভেজাল রং মেশানোর অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হলুদ মটরে  কৃত্রিম রং মেশানো হচ্ছে। তারপর সেগুলি সূর্যের আলোয় শুকিয়ে নেওয়া হয়। রং মেশানো মটরগুলি ১০ মিনিট ডিপ ফ্রায়েড করা হয়। এবার অতিরিক্ত তেল সরিয়ে নিতে একটি মেশিন ব্যবহার করা হয়। শেষে নুন মিশিয়ে প্যাকেটে ভর্তি করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মত, মটরে এমন  কৃত্রিম  রং মেশানো হচ্ছে যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক। সেক্ষেত্রে কীভাবে বাড়িতে ভেজাল মটর শনাক্ত করবেন, তা নিয়েও বিশেষজ্ঞদের তরফে মতামত জানানো হয়েছে। সেই পদ্ধতি হল-

১. প্রথমে কিছু সবুজ মটর একটি স্বচ্ছ গ্লাসে নিন।
২. গ্লাসে জল দিয়ে ভালভাব মটরগুলি মেশান। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩. যদি মটরে ভেজাল না থাকে তাহলে জলে কোনও রং মিশবে না। কিন্তু কৃত্রিম রং মেশানো মটরের জল সবুজ হয়ে যাবে।

ভেজাল মটর শরীরে গেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে

অ্যালার্জি: ভেজাল মটর খেলে ত্বকে র‌্যাশ, চুলকানি সহ অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা এবং অ্যাজমাও বাড়তে পারে।
হজমের সমস্যা: ভেজাল মটরের কারণে পেটব্যথা, বমি বা ডায়েরিয়ার সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার অতিরিক্ত খেলে পেটের ব্যাকটেরিয়া এবং পাচন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
অতিরিক্ত উত্তেজনা ও আচরণগত প্রভাব: কয়েকটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে, কৃত্রিম রং শিশুর মধ্যে অতিরিক্ত উত্তেজনা তৈরি করতে পারে, বিশেষত এডিএইচডি অর্থাৎ অ্যাটেনশন ডিফিশিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত শিশুদের ঝুঁকি বেশি থাকে। 
ক্যানসার এবং বিষক্রিয়ার আশঙ্কা: মানবদেহে ক্যানসার কোনও সুস্পষ্ট সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। তবে খাবারে যে কোনও  কৃত্রিম রঙের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে লিভার এবং কিডনির ক্ষতি হতে পারে। সঙ্গে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।