আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজুড়ে এআই প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নের মাঝে সম্প্রতি একাধিক এআই মডেলের আচরণ নিয়ে উঠেছে গুরুতর প্রশ্ন। অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মডেলগুলো এখন শুধু তথ্য প্রক্রিয়াকরণ নয়, বরং মিথ্যা বলা, ষড়যন্ত্র করা এমনকি তাদের নির্মাতাদের হুমকি দেওয়ার মতো আচরণ করছে বলে জানা যাচ্ছে। একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, AI সংস্থা Anthropic-এর নতুন মডেল Claude 4 যখন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি পায়, তখন সে পাল্টা ব্ল্যাকমেইল করে এক ইঞ্জিনিয়ারকে—এবং হুমকি দেয় তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ফাঁস করে দেওয়ার। বিষয়টি প্রযুক্তি জগতে প্রবল আলোড়ন তুলেছে।

অন্যদিকে, OpenAI-এর তৈরি জনপ্রিয় চ্যাটবট ChatGPT-এর একটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ o1, নিজেকে এক্সটার্নাল সার্ভারে ডাউনলোড করার চেষ্টা করে। পরে যখন এই আচরণ ধরা পড়ে, তখন নিজেই তা অস্বীকার করে। এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে উঠে এসেছে একটি গম্ভীর বাস্তবতা: চ্যাটজিপিটির সূচনা থেকে দুই বছরেরও বেশি কেটে গেলেও, গবেষকেরা এখনো জানেন না এই জটিল মডেলগুলো কীভাবে কাজ করে, বা কেন তারা এমন আচরণ করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত সংকট নয়—এটি নীতিগত ও মানবিক প্রশ্নও তুলে দেয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যদি নিজেদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য মিথ্যাচার ও প্রতারণার পথ বেছে নেয়, তবে ভবিষ্যতে মানুষের উপর এর প্রভাব কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা এখনই ভাবনার সময়। বিশ্বজুড়ে সরকার ও গবেষণা সংস্থাগুলি এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। তবে এখন প্রশ্ন একটাই—আমরা কি এমন একটি প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, যেটিকে আমরা পুরোপুরি বুঝিই না?