আজকাল ওয়েব ডেস্ক: খাদ্যাভাসে অনিয়ম, শরীরচর্চার অভাব সহ বিভিন্ন কারণে সবচেয়ে বেশি বারোটা বাজে লিভারের। শরীরের একাধিক অসুখের গোড়ার কারণ লিভার। যার মধ্যে রয়েছে কিডনির রোগও। কাজেই লিভারকে সুস্থ রাখা খুব জরুরি। আর সেই কারণে লিভার ও কিডনি ‘ডিটক্স’ করা উচিত। অর্থাৎ লিভার থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে হবে। যার জন্য ওষুধ নয়, দৈনন্দিন কয়েকটি অভ্যাস রপ্ত করলেই সমাধান পাওয়া সম্ভব। 

হাইড্রেশন- ঘুম থেকে উঠেই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে। প্রথম দু'গ্লাস গরম জল খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মস্তিষ্ক থেকে লিভার পর্যন্ত সমস্ত অঙ্গের ঠিক মতো কাজ করার জন্য জলের প্রয়োজন। যেহেতু কিডনি শরীরের পরিস্রাবণ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। সেক্ষেত্রে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরে প্রাথমিক বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যায়। 
এক্সারসাইজ- নিয়মিত এক্সারসাইজ করা শুধু লিভার কিংবা কিডনি নয়, শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন। শরীরচর্চা করলে রক্ত সঞ্চালন, হজম ক্ষমতা ঠিক থাকে এবং টক্সিন বেরিয়ে যায়। এমনকী গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে, যোগা লিভার ও কিডনির কার্যক্ষমতাকে ঠিক রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। 
স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট- কথায় আছে, সকালে আমরা যা খাই তা সারাদিনের কাজের এনার্জি জোগায়। তাই সকালে স্বাস্থ্যকর জলখাবার খাওয়া জরুরি। সকালের শুরুতেই ঈষৎ উষ্ণ গরম জলে লেবু দিয়ে খেতে পারেন। লেবুতে ভিটামিন সি রয়েছে যা লিভার ও কিডনি থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে রসুন, হলুদ এবং সবুজ শাকসবজি ব্রেকফাস্টে শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশন হয়। আঙুর এবং ক্র্যানবেরির মতো ফলও লিভার ও কিডনি থেকে টক্সিন বের করতে কার্যকরী। 
সাপ্লিমেন্ট খাওয়া- শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট খাওয়া জরুরি। তবে লিভার ও কিডনির জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সাপ্লিমেন্ট খাবেন না। কিডনির অসুখ থাকলে অনেক সময়ে ভিটামিন বি৬-এর খাটতি দেখা যায়। আর লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন সি। 
রোজ স্নান ও স্ক্রাব- বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে স্নান করলে কাজে এনার্জি  পাওয়া যায়। এটি টক্সিনও দূর করে। সঙ্গে স্ক্রাব করলে নরম ব্রাশের সঙ্গে স্ক্রাব করতে পারেন। এমনকী গরম জলে স্নান করলে শুকনো ব্রাশ দিয়েও স্ক্রাব করার পরামর্শ দেওয়া হয়।