২০২৫ সালের দীর্ঘতম রাত আজই, ২১ ডিসেম্বর। আজকের দিন লেখা হয় ২১.১২ হিসেবে, যা কেবলই ক্যালেন্ডারের একটা দিন নয়, বরং আধ্যাত্মিকভাবে দেখলে এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী এনার্জেটিক পোর্টাল, যেখানে আপনি ইউনিভার্সকে আপনার মনের ইচ্ছে জানালে সেটা পূরণ হবে। কিন্তু কেন? কীভাবেই বা মনস্কামনা জানাবেন ইউনিভার্সকে?
২১.১২ বা ২১ ডিসেম্বর এমন একটা দিন বা সংখ্যা যেখানে মহাজাগতিক কিছু বদল ঘটে এবং একই সঙ্গে ইচ্ছে জানানোর অবকাশ একত্রে ম্যানিফেস্ট করার এনার্জি বাড়িয়ে দেয়। আর তাছাড়া, ২১ ডিসেম্বরের পর আবার ধীরে ধীরে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়তে শুরু করে, ঠিক যেমন অন্ধকার সরে আলো আসে, কনফিউশন কেটে যায়।
এবার জেনে নিন ২১.১২ এর অর্থ, কেনই বা এটি এত গুরুত্বপূর্ণ?
সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী, ২১ সংখ্যাটি সাফল্য বয়ে আনে। ব্যক্তিগত উন্নতি, ম্যাচিওরিটি, সম্পূর্ণতা বোঝায়। এই সংখ্যাটি বুদ্ধির প্রতীক। অন্যদিকে ১২ সংখ্যাটি ঐশ্বরিক শক্তি এবং আধ্যাত্মিক সচেতনতা বৃদ্ধি বোঝায়। এই দুটো সংখ্যাকে একত্র করলে এটি পুনর্জন্ম বা নতুন শুরুর পোর্টাল বা পথ তৈরি করে। এমনকী যা আর আপনাকে বা আপনার উন্নতিতে সাহায্য করবে না সেটা পুরোপুরি বন্ধ করে, বা শেষ করে দেয়। আগামী যা আসে সেটাকে ঐশ্বরিক শক্তি দ্বারা পরিচালন করে।
আবার অন্যভাবে দেখলে, ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণায়ন হওয়ায়, ২১ ডিসেম্বরের রাত বছরের দীর্ঘতম রাত যা পুরনো সাইকেলের শেষ এবং নতুন শুরু বোঝায়।
২১.১২-তে ইউনিভার্সকে কীভাবে মনের ইচ্ছে জানাবেন?
মনের ইচ্ছে জানাতে হবে, সেটা পূরণ করতে হবে বলে তাড়াহুড়ো করে, ডেসপারেট হয়ে নয়। বরং শান্তভাবে নিজের এনার্জি একত্রিত করুন। কয়েক মুহূর্ত নীরবতা পালন করুন। নিজেকে সময় দিন। একটি ঘরে মোমবাতি জ্বালিয়ে তার আলোয় শান্ত হয়ে বসুন। ধ্যান করুন। এবার তার সঙ্গে নিজের ইচ্ছে চোখ বন্ধ করে ভাবতে থাকুন। সেই ইচ্ছে পূরণ হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ ঘটমান বর্তমানে ভাবুন। এবার এই ইচ্ছে ইউনিভার্সকে জানান।
অথবা রাত নয়টা বারো মিনিটে শান্ত হয়ে বসে নিজের এনার্জিকে ইউনিভার্সের সঙ্গে অ্যালাইন করুন। একটি সাদা কাগজে নয়বার মনের ইচ্ছে লিখে সেটা বিছানার পাশে একটা জলের গ্লাস চাপা দিয়ে রেখে দিন। পরদিন সকালে এই জলটা ঘুম থেকে উঠে পান করুন।
এই দিনটিতে ঝগড়া, ঝামেলা, তর্ক এড়িয়ে চলুন। তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। বা নেতিবাচক কোনও ভাবনাকে প্রশ্রয় দেবেন না। কী বলছেন, কী করছেন সেই কাজের প্রতি সতর্ক হন।
