আজকাল ওয়েবডেস্ক: হরিদেবপুরে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। তরুণীর নাম প্রিয়া আঙ্কুশি। বিষ পান করার ফলে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান বেনিয়াপুকুর পুলিশের। তদন্ত চলছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতার হরিদেবপুরের বাসিন্দা প্রিয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাওয়ালি এলাকার চকেতবাটির বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত আঙ্কুশীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। দু’জনের একটি পুত্রসন্তানও আছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে একটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এবং তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে তিনি ফিরে আসেন স্বামীর কাছে এবং এরপর হরিদেপুরের নবপল্লী এলাকায় বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। 

আরও পড়ুন: নজরে ২০২৬, ঘর গোছাল তৃণমূল কংগ্রেসের সামাজিক মাধ্যম

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন ওই তরুণী। গত সোমবার ওই তরুণী চরম অবসাদের জেরে বিষ সেবন করেন। বিষপানের পর তিনি ক্রমাগত বমি করতে থাকেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (CNMC)-এ ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। অবশেষে গতকাল বুধবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালেই প্রিয়ার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: ছাত্রের প্রেমে হাবুডুবু শিক্ষিকা, ৪০ বছরের ছোট শিক্ষার্থীকে কাছে টেনে এ কী শেখালেন মহিলা! হুলুস্থুল নেটপাড়া

এর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেনিয়াপুকুর থানায় এক যুবতীর মৃত্যুর সংক্রান্ত তথ্য পাঠিয়ে দেয়। সেই তথ্য হাতে হরিদেবপুর থানার পুলিশ হাসপাতালে  পৌঁছ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানসিক অবসাদের জেরে প্রিয়া প্যারাকোয়াট নামক বিষাক্ত পদার্থ সেবন করেছিলেন।

আরও পড়ুন: সন্দেহের বশে নিজের প্রেমিকাকেই খুন যুবকের, ২৫০ টি সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপরাধীকে খুঁজে বার করল পুলিশ

লালবাজার সুত্রে খবর, তদন্তে কোনও অপরাধমূলক কাজ বা জোরজবরদস্তির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের জন্য ময়নাতদন্ত ও ইনকোয়েস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পড়শি ও আত্মীয়দের জানিয়েছেন, “প্রিয়া সব সময় হাসিখুশি মেয়ে ছিল। কিন্তু কিছু দিন ধরে ওর মধ্যে একটা অদ্ভুত অবসাদ দেখা যাচ্ছিল। নিজের ভুল সম্পর্কের জন্যই বোধহয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

এই ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  মাত্র ২৪ বছর বয়সী গৃহবধূর এমন এক মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহননের ঘটনা সমাজে সম্পর্কের ভাঙন ও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।