আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মতলার শহিদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বাজি বাজার। শুক্রবারই কালীপুজোয় শব্দবাজি নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুলিশ। লালবাজার সাফ জানিয়েছে যে, সুবজ বাজি ছাড়া অন্যকোনও বাজি নিষিদ্ধ বলে গন্য করা হবে। এই দিনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, আগামী ২০ অক্টোবর কালীপুজো ও দীপাবলি উপলক্ষে রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত সবুজ বাজি পোড়ানো যাবে। এছাড়া, আগামী ২৮ অক্টোবর ছটপুজো। ওই দিন সকাল ছয়'টা থেকে বেলা আট'টা পর্যন্ত সবুজ বাজি পোড়ানোয় ছাড় রয়েছে। 

২০২১ সালে বাজি ফাটানো সংক্রান্ত বিষয় আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কলকাতা হাই কোর্ট হয়ে বিষয়টি পৌঁছোয় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে সে বছর রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড সবুজ আতশবাজি ছাড়া সমস্ত ধরনের আতশবাজির আমদানি, ক্রয়, বিক্রয়, মজুত এবং ব্যবহার রাজ্য জুড়ে নিষিদ্ধ করেছিল। বেঁধে দিয়েছিল আতশবাজি ফাটানোর সময়ও। সেটাই বলবৎ থাকছে এ বছরও।

কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ১ হাজার ৪০৩টি বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থার বাজি বাজারে বিক্রি করার জন্য বৈধ বলে গণ্য হবে। এ বছর ধর্মতলার বাজি বাজারে মোট ৩৭টি স্টল রয়েছে। বাজারটি বড়বাজার ফায়ারওয়ার্ক্স ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে চলবে এবং এটি চলবে আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত। 

কালীপুজো ও দীপাবলির সময় পুলিশ বিশেষ নজরদারি চালাবে, যাতে সবাই নিরাপদে বাজি কিনতে ও ব্যবহার করতে পারে। তবে নিয়ম অমান্য করে নিষিদ্ধ বাজি কেনা-বেচা করলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও সাবধান করেছেন কলকাতার নগরপাল মনোজ ভর্মা।  

কালীপুজো ও দীপাবলির আগে বুধবার পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন নগরপাল। কলকাতায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কালীপুজো হয়। বুধবারের বৈঠকে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সবদিক পর্যালোচনা করে জরুরি গাইডলাইন বেঁধে দেন সিপি। ওই বৈঠকের পর মনোজ ভার্মা সাফ জানিয়ে দেন, "গ্রিন বাজিতে অনুমতি রয়েছে, এছাড়া যে বাজিগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলি কোনওভাবেই বিক্রি করা যাবে না। নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর শাস্তি হতে পারে বলেও সতর্ক করে দেন নগরপাল।"

প্রতিবছরের মতো এবারেও প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কলকাতার নগরপাল জানান, আগামী ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর, এই তিনদিনের মধ্যে শহরের সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। একইসঙ্গে বিসর্জনের সময়েও মেনে চলতে হবে নিয়ম। যেমন- ডিজে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দমকল বিভাগের ২০১৯ সালের জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন নগরপাল।

আরও পড়ুন- প্রেমিকার স্বামীকে মারতে এসে নিজেই খুন যুবক! পরে থানায় আত্মসমর্পণ অভিযুক্ত স্বামীর