আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় জারি রয়েছে ধরপাকড়। সোমবার সকালে এই ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৭। শুক্রবার পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২৪ জনকে। শনিবার আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার গ্রেপ্তার হন আরও ৫ জন।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১৪ আগস্ট রাত দখল কর্মসূচিতে অংশ নেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মহিলারা। অভিযোগ, সেই সময়ই আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বহিরাগতরা। ঘটনার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরজি কর হাসপাতাল চত্বর। এমনকি চিকিৎসকদের আন্দোলন মঞ্চও সেদিন ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জরুরি বিভাগ, ওষুধের স্টোররুমে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতার সিপি বিনীত গোয়েল। তাঁর সঙ্গে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
১৬ আগস্ট সাংবাদিক বৈঠক করেন সিপি বলেন, আরজি করের আন্দোলন যে হঠাৎ হিংসাত্বক হয়ে উঠবে তা তিনি ভাবতে পারেননি। ভাবনায় ভুল ছিল। একে আমাদের ব্যর্থতা বলতে পারেন। প্রসঙ্গত, ৮ আগস্ট, নাইট শিফটে তরুণী চিকিৎসক ছিলেন। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১২ আগস্ট এই ঘটনা যায় কলকাতা হাই কোর্টে। চারটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়। এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। অভিযুক্ত সঞ্জয়কে নিজেদেরে হেপাজতে নিয়েছে সিবিআই। চলছে জিজ্ঞাসাবাদের পালা।
