আজকাল ওয়েবডেস্ক: রেল লাইনের পাশেই কাচা হচ্ছে কাপড়। ধোয়া হচ্ছে বাসন। করা হচ্ছে রান্না। নষ্ট হচ্ছে সিগন্যাল সম্পর্কিত নানা জিনিসপত্র। যার ফলে ধাক্কা খাচ্ছে ট্রেন চলাচলের মতো বিষয়গুলিও। অথচ জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বিপদ। চক্ররেল নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করল রেল।
মঙ্গলবার পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম দীপক নিগম জানিয়েছেন, 'বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ, এর ফলে ট্রেন চালাতে সমস্যা হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে রেল লাইনের। জায়গার অভাবে নিয়মিত বা বর্ষাকালে রেলরক্ষী বাহিনীর টহল দিতেও সমস্যা হচ্ছে।'
কলকাতার বিভিন্ন জায়গার মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলতে ১৯৮৪ সালে তৈরি করা হয় চক্ররেল। যা সার্কুলার রেলওয়ে নামেও পরিচিত। দিনে ২৮টি গাড়ি আপ এবং ডাউন লাইনে চলাচল করে। যেখানে যাতায়াত করেন প্রায় ৩০ হাজারের কাছাকাছি যাত্রী। দমদম থেকে মাঝেরহাট যাতায়াতের জন্য এই রুট যথেষ্টই জনপ্রিয়। যে কারণে গত ৪০ বছরে একদিকে যেমন বাড়ানো হয়েছে ট্রেনের সংখ্যা তেমনি উন্নতি করা হয়েছে এই রেলপথের ধারের স্টেশনের পরিকাঠামোগত অবস্থাও।
কিন্তু অভিযোগ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাইনের ধার ঘেঁষে রেলের জায়গা জবরদখল হয়ে গিয়েছে। রেলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, জবরদখলকারীরা ধীরে ধীরে এগিয়ে এসেছেন একেবারে রেললাইনের গায়ে। তাঁরা লাইনের ওপর ফেলছেন ময়লা। নিয়মিতভাবে এই ধরনের কাজের জন্য রেলের নানা যন্ত্রপাতিতে মরিচাও ধরে যাচ্ছে।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়মিতভাবে অন্যান্য জায়গায় জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হলেও এক্ষেত্রে তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও যাত্রী সংগঠনের সহযোগিতা চাইছেন।
