আজকাল ওয়েবডেস্ক: আপাতত স্থগিত রাখা হল মন্দারমণিতে হোটেল ও রিসর্ট ভাঙার সিদ্ধান্ত। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভাঙার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্দারমণির হোটেল ও রিসর্ট অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সম্পাদক মুস্তাক আলি খান জানান, তাঁরা স্বাগত জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তকে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি। তার আগে মামলার সব পক্ষকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফলে আপাতত স্বস্তিতে হোটেল মালিকরা। 

 

স্বল্প দূরত্বের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে মন্দারমণি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে পর্যটকের ভিড় যত বেড়েছে ততই বেড়েছে হোটেল ও রিসর্টের সংখ্যা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, বেশ কিছু হোটেল পরিবেশের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একেবারে সমুদ্রের গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। বিষয়টি গড়িয়েছে ন্যাশানাল গ্রীন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) পর্যন্ত। এরপরেই এনজিটি'র নির্দেশ অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন মন্দারমণিতে ১৪০টি হোটেল, রিসর্ট ও রেস্তোরাঁ ভাঙার নির্দেশ দেয়। গত ২০ নভেম্বরের মধ্যে এই ভাঙার কাজ শেষ করতে হবে বলে জেলা প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

 

কিন্তু হোটেল মালিকদের সংগঠন এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। একইসঙ্গে স্থানীয় রামনগরের বিধায়ক ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ-এর সঙ্গে দেখা করে ভাঙার বিষয়ে হোটেল মালিকদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। অখিল গিরি জানিয়েছেন, এনজিটি'র এই নির্দেশ শুনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তাঁর সরকার এই ভাঙার সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নয়। কারণ তাতে কর্মসংস্থানের সমস্যা তৈরি হবে।  এরপরেই শুক্রবার হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির পর আদালত আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভাঙার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়।