আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইপিএলের ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি পাঞ্জাব কিংস। নেপথ্যে শ্রেয়স আইয়ার। বৃষ্টিবিঘ্নিত এলিমিনেটরে হেরে বিদায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। রবিবাসরীয় মধ্যরাতে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রাক্তন কেকেআরের অধিনায়কের ইনিংস দেখে হয়ত হাত কামড়াবেন ভেঙ্কি মাইসোর। নাইটদের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করা সত্ত্বেও শ্রেয়সকে ছেড়ে আরও এক আইয়ারের পেছনে ছুটেছিল কেকেআর। এদিন যেন তারই জবাব দিলেন নাইটদের ব্রাত্য অধিনায়ক। এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। অধিনায়কোচিত ইনিংস। ৪১ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত। বিধ্বংসী ইনিংসে রয়েছে ৮টি ছয়, ৫টি চার। নিঃসন্দেহে আইপিএলে শ্রেয়সের সেরা ইনিংস। ১১ বছর পর পাঞ্জাবকে তুললেন আইপিএল ফাইনালে। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারের শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান করে মুম্বই। জবাবে এক ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের বিনিময়ে জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। এবার আইপিএল শুরুর আগেই কোচ রিকি পন্টিং জানিয়েছিলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজির অতীত ভুলে সেরা ক্রিকেট উপহার দিতে চায় তাঁরা। কথা রাখলেন। দিল্লির পর শ্রেয়স-পন্টিং জুটি পাঞ্জাবেও ফুল ফোটাল। দিল্লিকে প্রথমবার ফাইনালে তুলেছিলেন তাঁরাই। এবার তাঁদের হাত ধরেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছে প্রীতি জিন্টার দল।
টসে জিতে মুম্বইকে ব্যাট করতে পাঠান শ্রেয়স। কিন্তু বৃষ্টির জন্য খেলা সঠিক সময় শুরু হয়নি। ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরীতে ম্যাচ শুরু হয়। শুরুটা মেজাজে করেন জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু এদিন রান পাননি রোহিত শর্মা। একবার জীবন ফিরে পেলেও ৮ রানে ফেরেন। তবে বেয়ারস্টো ছন্দে ছিলেন। ২৪ বলে ৩৮ রান করেন ইংলিশ ব্যাটার। ওপেনিং জুটি প্যাভিলিয়নে ফেরার পর মুম্বইকে টানেন তিলক বর্মা এবং সূর্যকুমার যাদব। দু'জন ব্যাট করার সময় মনে হয়েছিল, অন্তত ২২৫-২৩০ রান করবে মুম্বই। কিন্তু পরপর দুই সেট ব্যাটার আউট হতেই রানের গতি কমে যায়। দু'জনেই ৪৪ রানে আউট হয়। শেষদিকে নমন ধীর গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ রান যোগ করলেও মুম্বই কোনওক্রমে দুশো রানের গণ্ডি পেরোয়। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় পাঞ্জাব। জস ইংলিশ এবং শ্রেয়স আইয়ার দলের হাল ধরেন। পরের দিকে তাঁকে সাহায্য করেন নেহাল ওয়াদেরা। ২৯ বলে ৪৮ রান করেন। ৩৮ রানে ফেরেন ইংলিশ। কিন্তু এদিন একাই একশো ছিলেন শ্রেয়স। এমন পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রেখে এই জয়সূচক ইনিংস খেলা সহজ নয়। নাইট ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি কড়া বার্তা দিলেন বোর্ডের নির্বাচক মণ্ডলীকে।
