আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবশেষে ভাগ্য ঘুরল। ১৭ বছর পর চিপকে জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। শুক্রবার চেন্নাই সুপার কিংসকে ৫০ রানে হারালেন কোহলিরা। প্রথম চালেই বাজিমাত রজত পতিদারের। ২০০৮ সালের পর চিপকে কোনওদিন জেতেনি আরসিবি। কিন্তু বেঙ্গালুরুর মেন্টর দীনেশ কার্তিক জানিয়েছিলেন, এবার ভাগ্য ঘোরানোর জন্য তেতে ছিলেন কোহলিরা। করে দেখালেন। অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি, ফাফ ডু'প্লেসি যা পারেননি, করে দেখালেন রজত পতিদার। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান তোলে আরসিবি। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে শেষ করে চেন্নাই। চিপকের পিচে বাজিমাত করতে পারেনি চেন্নাইয়ের স্পিনাররা। একমাত্র নূর আহমেদ ছাড়া বাকিরা ব্যর্থ।
বেঙ্গালুরুর দু'জনকে নিয়ে সতর্ক ছিল চেন্নাইয়ের বোলাররা। সেই রজত পতিদার এবং বিরাট কোহলিই কাল হল। টসে জিতে বেঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠান ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। শুরুটা ভাল করেন ফিল সল্ট (৩২) এবং বিরাট কোহলি (৩১)। প্রথম উইকেটে ৪৫ রান যোগ করেন। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি দেবদত্ত পাড়িক্কাল (২৭)। স্পিনের বিরুদ্ধে বরাবরই ভাল পতিদার। এদিনও অর্ধশতরান করেন। ৩২ বলে ৫১ রান করেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক। তাতে ছিল ৩টি ছয়, ৪টি চার। তাঁর ব্যাটে ভর করেই দুশো রানের কাছাকাছি পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু। শেষদিকে ৮ বলে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন টিম ডেভিড। নূর আহমেদ ছাড়া বাকিরা ব্যর্থ। তিন উইকেট নেন আফগান স্পিনার। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান তোলে আরসিবি।
রান তাড়া করতে নেমে ডাহা ব্যর্থ চেন্নাইয়ের ব্যাটিং। একমাত্র রচিন রবীন্দ্র ছাড়া কেউ রান পায়নি। ৪১ করেন চেন্নাইয়ের ওপেনার। টপ অর্ডার পুরো ব্যর্থ। প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে চারজন দুই অক্ষরের রানে পৌঁছতে পারেনি। বড় রান তাড়া করতে নেমে টপ অর্ডার ফ্লপ হলে সেই জায়গা থেকে জেতা সম্ভব নয়। পারেনি চেন্নাই। শেষদিকে ২৫ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা। ন'নম্বরে নেমে অপরাজিত থাকেন ধোনি। ১৬ বলে ৩০ রান করেন প্রাক্তন অধিনায়ক। চিপকে পুরোপুরি একপেশে ম্যাচ। দাপুটে জয়ে বেঙ্গালুরুর। তিন উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড। জোড়া উইকেট জস দয়াল এবং লিয়াম লিভিংস্টোনের
