আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস। দুই দল একই মেরুতে। প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরেছে রাজস্থান। অসম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে দুই দলেরই প্রত্যাবর্তনের লড়াই। ইডেনে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে ৭ উইকেটে হারে কেকেআর। ব্যাটে অজিঙ্ক রাহানে এবং সুনীল নারিন ছাড়া সবাই ব্যর্থ। শেষদিকে রান পান অঙ্গকৃষ রঘুবংশী। কিন্তু নাইটদের বোলিংকে হেলায় উড়িয়ে দেয় বিরাট কোহলি, ফিল সল্ট জুটি। কেকেআরের কাটা ঘায়ে নুনের ছেঁটা দেন সল্ট। তবে প্রথম ম্যাচ নিয়ে ভাবতে চায় না নাইট শিবির। মঙ্গলবার ভরত অরুণ বলেন, 'প্রথম ম্যাচ জেতা সবসময়ই ভাল। তবে আমাদের সেই ম্যাচ থেকে কিছু শিক্ষা নিতে হবে। আমরা শুরুটা কাজে লাগাতে পারিনি। আমরা আরও রান করতে পারতাম। তবে আমরা ইনিংসের শেষদিকে একাধিক উইকেট হারাই। আরও ভাল বল করা যেত।'
অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও প্রত্যাবর্তন করার বিষয়ে আশাবাদী নাইটদের বোলিং কোচ। গুয়াহাটিতে খেলা। কলকাতা থেকে বেশি দূরে নয়। ভাষাও এক। তাই এটাকে সম্পূর্ণ অ্যাওয়ে ম্যাচ হিসেবে ধরছে না কেকেআর শিবির। ভরত অরুণ জানান, এটা তাঁদের দ্বিতীয় হোম। তবে গুয়াহাটিতে সমর্থন পাওয়া নিয়ে কোনও আশঙ্কা নেই রিয়ান পরাগের। চোটের জন্য প্রথম তিন ম্যাচে উইকেটকিপিং করতে পারবেন না সঞ্জু স্যামসন। আগের ম্যাচে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলেন। তাই প্রথম তিন ম্যাচে রাজস্থানকে নেতৃত্ব দেবেন রিয়ান পরাগ। নিজে অসমের লোক। তাই আশা করছেন, তাঁদের সমর্থনে গ্যালারি ভরবে। রিয়ান পরাগ বলেন, 'আমি জানি না কেকেআরে কতজন বাঙালি আছে। তবে অসমীয়া হওয়ায় আশা করছি আমি সমর্থন পাব।' জয়ে ফিরতে দুই দলকেই কিছু বদল করতে হবে। হায়দরাবাদ ম্যাচে প্রচুর রান দেয় রাজস্থানের বোলাররা। অন্যদিকে একটি উইকেট পেলেও এক ওভারে ২১ রান দেন বরুণ চক্রবর্তী। রান পাননি আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিং। নাইট শিবিরের আশা, দ্বিতীয় ম্যাচে ছন্দে ফিরবে দুই বিগ হিটার। রাজস্থান ম্যাচে দলে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। বেঙ্গালুরু ম্যাচের দলই ধরে রাখতে পারে কেকেআর।
