আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল গ্রিসের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্মৃতিস্তম্ভ, অ্যাক্রোপলিস। তাপপ্রবাহ চলায় এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। গ্রিসের সংস্কৃতি মন্ত্রক জানিয়েছে যে, প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে শ্রমিক এবং দর্শনার্থীদের সুরক্ষার কতা বিবেচনা করেই বিশ্বখ্যাত অ্য়াক্রোপলিশ বন্ধ থাকবে।

চার দিনের তাপপ্রবাহ গত রবিবার থেকে শুরু হয়েছিল। জুন মাসের শেষের দিকেও অতি গরমে নাজেহাল হয়েছিলেন গ্রিসের মানুষজন।  মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৪২ সেলসিয়াস (১০৭.৬ ফারেনহাইট) পৌঁছেছে। অ্যাথেন্সের পারদ উঠেছে সর্বোচ্চ ৩৮ সেলসিয়াসে। বুধবারও একই রকম তাপমাত্রা থাকবে বলে পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।

অ্য়াক্রোপলিশের বাইরের কর্মীদের সুরক্ষার জন্য, গ্রিসের শ্রম মন্ত্রক বেশ কয়েকটি দ্বীপ-সহ দেশের বিভিন্ন অংশে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গরম মূলত নির্মাণ কাজ এবং ডেলিভারি রাইডারদের উপর প্রভাব ফেলেছে। সাইকেল চালানোর কুরিয়ার মিচালিস কেসকিনিডিস এএফপিকে বলেন, "তাপপ্রবাহের দিনগুলিতে আমার কাজ আরও কঠিন হয়ে ওঠে।" ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বলেন, "আমরা গরম থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য প্রচুর জল পান করি এবং যখনই সম্ভব হচ্ছে তখনই কাজ থেকে বিরতি নিচ্ছি।"  

প্রাচীন ধর্ম, দর্শন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তীর্থস্থান গ্রিস। বিশ্বের পর্যটকদের কাছে অন্যতম পছন্দের স্থান গ্রিসের রাজধানী অ্যাথেন্সের অ্যাক্রোপলিস। গ্রিস ভ্রমণ করেছেন কিন্তু অ্যাক্রোপলিসে যাননি এমন পর্যটক পাওয়া দুষ্কর। অ্যাক্রোপলিস বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোর মধ্যে একটি। অ্যাথেন্সে সবচেয়ে বেশি পর্যটনের আনাগোনা থাকে এখানে। প্রতিদিন ২৪ হাজারেরও বেশি পর্যটক অ্যাক্রোপলিসে ঘুরতে যান। তবে এখানে তেমনভাবে ছায়াঘেরা জায়গা নেই। অ্য়াক্রোপলিসে ২০২৩ সালের তুলনায় ১৫ শতাংশেরও বেশি পর্যটক বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে গরমের জেরে অ্য়াক্রোপলিশ বন্ধের ঘটনা এই নতুন নয়, গত দুই বছর ধরেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতির জন্য প্রশাসন এই দর্শনীয়স্থান বন্ধের নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছেন।