আজকাল ওয়েবডেস্ক: অতিমারি নিয়ে বিরাট পদক্ষেপ। হু-য়ের আবেদনে সাড়া দিল প্রতিটি দেশ। অতিমারি নিয়ে চুক্তি সই করল এবার প্রতিটি দেশ।


ভবিষ্যতের অতিমারিকে কীভাবে সামলানো যাবে তা নিয়ে এবার বিরাট পদক্ষেপ নিল হু। কোভিডের সময় যে ভুল হয়েছিল তা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা এবার ভবিষ্যতের অতিমারিকে রোখার দিকে এগিয়ে গেল আরেক ধাপ। 


এবিষয়ে টানা তিনবছর ধরে ম্যারাথন বৈঠক এবং আলোচনা হয়েছিল। তবে বৈঠক শেষে সকল দেশই নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে এই চুক্তির পক্ষে সায় দিয়েছে। হু-য়ের চিফ টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস জানিয়েছেন এই পদক্ষেপ গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে নতুন ভরসা দেবে। এই চুক্তিকে তিনি ঐতিহাসিক বলেও বর্ণনা করলেন। 


কোভিড গোটা বিশ্বের বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এমন পরিস্থিতি যাতে ভবিষ্যতে আর না তৈরি হতে পারে সেদিকে নজর দিয়েই এই চুক্তি দরকার ছিল বলেই জানিয়েছেন হু-য়ের প্রধান।


গেব্রিয়েসাস উল্লেখ করেন যে, বিভিন্ন দেশের সরকার বর্তমানে অতিমারির হুমকিকে উপেক্ষা করে অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কটের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ব্যস্ত। বিশ্ব যখন যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার সঙ্গে লড়াই করছে, তখন জনগণ এবং সরকার উভয়ই কোভিডকে অতীত হিসেবে ধরে নিয়েছে। তবে, তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, পরবর্তী অতিমারি এই সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য অপেক্ষা করবে না। এটি যেকোনও সময় আঘাত হানতে পারে।


হু-এর বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে জোর দিয়ে তিনি বলেন, "বিশ্বে পরবর্তী অতমারি কেবল একটি তাত্ত্বিক সম্ভাবনা নয়। বরং এটি বৈজ্ঞানিক দিক থেকে অনিবার্য।  অতএব, দেশগুলিকে অবিলম্বে এই আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে।"


প্রতিটি দেশ যখন একসঙ্গে লড়াই করার শপথ নিয়েছে তখন এখান থেকে অতিমারির সঙ্গে লড়াই করা অনেক বেশি সহজ হবে বলেই মনে করছেন হু-য়ের প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, যেভাবে একদিন ধরে তারা এই চুক্তির প্রয়োজন নিয়ে সকলকে বোঝাতে শুরু করেছিলেন সেখান থেকে এই চুক্তির গুরুত্ব কতটা সেটা সকলকে বোঝানো গিয়েছে। অতিমারি থেকে তাই আগে থেকেই নিজেদের তৈরি করে রাখতে হবে।