আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান। কোনও ক্ষয়ক্ষতি তেমন না হলেও খবর অন্য জায়গায়। সোমবার রাতের সেই ভূমিকম্পের জেরে ভেঙে পড়েছিল করাচির মালির জেলের একটি পাঁচিল। সেই জায়গা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন ২১৬ জন বন্দি। এর মধ্যে রয়েছেন কয়েক জন কুখ্যাত দুষ্কৃতী, খুনি এবং ডাকাতও। এর মধ্যে ৭৮ জনকে ফের পাকড়াও করা হয়েছে। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন এক জন বন্দি। বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। চারজন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন।
জেলের আধিকারিক কাশিফ আব্বাসি জানিয়েছেন, সিন্ধু প্রদেশের মালির জেল থেকে ২১৬ জন বন্দি পালিয়ে গিয়েছিল। ৭৮ জনকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু জঙ্গি হিসেবে দোষী সাব্যস্ত বা বিচারাধীন কোনও বন্দি পালিয়ে যায়নি।
ভূমিকম্পের পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বন্দিদের সাময়িকভাবে তাঁদের ব্যারাক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যার ফলে প্রধান ফটকের কাছে ৭০০ থেকে ১,০০০ বন্দি জড়ো হয়েছিল। সেই সময়ই আচমকা পাঁচিল ভেঙে যায়। সেই সময় বেশ কয়েকজন বন্দি যাদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষের বাঁধে। বন্দিরা অস্ত্র ছিনতাই করে অফিসারদের উপর গুলি চালায়। এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেআব্রু হয়ে পড়ে।
সিন্ধুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান লাঞ্জার যদিও দাবি করেছেন, বন্দিরা কারাগারের দেয়াল নয়, মূল ফটক ভেঙেছিল। তিনি স্বীকার করেছেন যে কম্পনের ফলে দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে, কিন্তু পালানোর জন্য সেটি ব্যবহার করা হয়নি।
Prison break in Karachi Pakistan, 250 to 300 Inmates have fled from Jail. They were seen on the street and there was firing later on. pic.twitter.com/QUyHbS2kCO
— Vikrant (@Vikspeaks1)Tweet by @Vikspeaks1
জেল ভাঙার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় যেখানে দেখা যাচ্ছে করাচির রাস্তায় কয়েকজন বন্দি ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং কেউ কেউ প্রকাশ্যে চিৎকার করছেন বলছেন যে তাঁরা ২৮ বছর ধরে কারাগারে বন্দি ছিলেন।
এর পরেই নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত, ৭৮ জন বন্দিকে আটক করা হয়েছে। বাকি পলাতকদের খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে। শহরজুড়ে চেকপয়েন্ট বসানো করা হয়েছে। হাইওয়ের কাছে যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে এবং নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
