আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘদিন রোগভোগের পর, ৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস। ২১ এপ্রিল সোমবার ভ্যাটিকান ঘোষণা করেছে পোপের মৃত্যু সংবাদ। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর, মার্চে জানা যায়, শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল পোপের। রবিবার, পালন করেছিলেন ইস্টার। ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আসে দুঃসংবাদ।পোপের মৃত্যু, পরবর্তী পোপ বাছাই করা, পরপর, ধাপে ধাপে বেশকিছু নিয়ম রয়েছে ভ্যাটিকানে।
পোপের মৃতদেহ সাধারণত মৃত্যুর চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে সমাহিত করা হয়। পোপের শেষকৃত্যের প্রায় তিন সপ্তাহ পর নতুন পোপ নির্বাচন করা হবে একটি অত্যন্ত গোপনীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। গত ৭০০ বছর ধরে এই ঐতিহ্য চলে আসছে। কলেজ অফ কার্ডিনালস সিস্টিন চ্যাপেলে একটি সম্মেলন আয়োজনের জন্য আহ্বান জানাবে। সেখানে ভোটাভুটির মাধ্যমে নতুন পোপকে বেছে নেওয়া হবে। অন্তত দুই তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হতে হবে।
পোপ ফ্রান্সিস প্রয়াত হয়েছেন দিনকয়েক আগে। জুঁইয়ে মোড়া, আর পর্যটকদের ভিড়ে ভরা রোমে এখন চরম ব্যস্ততা। কনক্লেভের প্রস্তুতি। যদিও সব চলছে বন্ধ দরজার আড়ালে। কারণ, কে হবেন পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি, এখন আলোচনা তা নিয়েই। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে কনক্লেভ-পূর্ববর্তী এই সময় ওয়েস্টমিনস্টারের অবসরপ্রাপ্ত আর্চবিশপ কার্ডিনাল করম্যাক মারফি-ও'কনর এবং অন্যান্য সংস্কার-মনস্ক ইউরোপীয়রা জর্জ মারিও বার্গোগলিও, আর্জেন্টাইন জেসুইটের প্রার্থীতার পক্ষে জোর দিতে শুরু করেন। তাদের ‘ডিনার টেবিল লবিং’ কাজ করে যায় সেবার এবং পঞ্চম ব্যালটে পোপ ফ্রান্সিস জয়ী হন।
কার্ডিনাল ভিনসেন্ট নিকোলস ওয়েস্টমিনস্টারের আর্চবিশপ হিসেবে মারফি-ও'কনরের পদ উত্তরাধিকারসূত্রে এবার পেয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু কার্ডিনালদের মধ্যে কে পরবর্তী পোপ হবেন? তা নিয়েই এখন আলোচনা তুঙ্গে।
নিকোলস বলেন, ভবিষ্যতের পোপের একটি ছবি ফুটে উঠতে শুরু করেছে তাঁদের মনে। বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা এমন একজনকে খুঁজছি যাঁর কাজের পদ্ধতিতে কেবল বিশ্বাসের গভীরতাই প্রকাশ করেন না, বরং তার উন্মুক্ততাও প্রকাশ পায়।‘
কার্ডিনালরা এখন পরবর্তী পোপ বাছাইয়ের কাজে একত্রিত হয়েছেন। নির্দিষ্ট রুটিনে ভ্যাটিকানে দিন কাটছে তাঁদের। প্রতিদিন সকালে নিয়ম মেনে ভ্যাটীকানের অডিটোরিয়ামে মিলিত হন তাঁরা। সেখানে আলোচনা হয়, ক্যাথলিক চার্চের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এবং কাকে বাছাই করতে হএব তা নিয়ে। পোপ ফ্রান্সিসের জন্য নও’ দিনের সরকারি শোকের অংশ হিসেবে বিকেলের প্রার্থনায় যোগ দেওয়া ছাড়া বাকি দিন তাঁদের বিশেষ কোনও রুটিন নেই। কেউ হাঁটছেন ভ্যাটিকানের রাস্তায়, কেউ রেস্তোরাঁয় ঢুঁ মারছেন অনায়াসে।
