আজকাল ওয়েবডেস্ক: সংঘাত তীব্র থেকে তীব্রতর। বাণিজ্য যুদ্ধ, একে অপরের উপর চাপানো শুল্কনীতি, সব মিলিয়ে আমেরিকা-চীনের এই ঘাত-প্রতিঘাত কোনদিকে মোড় নেয়, নজর সেদিকে। এর মধ্যেই হোয়াইট হাউস সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বেজিংয়ের হাবভাব দেখে ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন, বুধবার অর্থাৎ ৯ এপ্রিল থেকেই আমেরিকা চীনা আমদানিকৃত দ্রব্যের উপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক অর্থাৎ মোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।

আগে থেকেই চীন থেকে যেসব দ্রব্য রপ্তানি হত আমেরিকায়, তার উপর ১০ শতাংশ শুল্ক ছিল। এপ্রিলের শুরুতেই ট্রাম্প আরও ৪৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন চীন থেকে আমদানিকৃত দ্রব্যের উপরে। অর্থাৎ শুল্কের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশে। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা চীন মার্কিন দ্রব্যের উপর শুল্ক আরোপের বার্তা দিলেই, বড় হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন চীন নিজেদের হুঁশিয়ারি ফিরিয়ে না নিলে তিনি চীন থেকে আমদানিকৃত দ্রব্যের উপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বসাবেন। তাতে চীনা দ্রব্যের উপর শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০৪ শতাংশে। 

চীনকে নিজেদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য একপ্রকার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চীনও জানিয়েছে দিয়েছে, এবার আর শুল্কের কারণে আমেরিকার কাছে মাথা নত নয়, বদলে বেজিংয়ের জবাব, চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক বৃদ্ধির জন্য মার্কিন পক্ষের হুমকি ভুলের উপরে আরও একটি ভুল, যা আবারও আমেরিকান পক্ষের ব্ল্যাকমেইলিং চরিত্রকে খোলসা করে দিল। যদি আমেরিকা এই শুল্ক বলবৎ করতে অনড় থাকে, তাহলে চীন শেষ পর্যন্ত লড়াই চালাবে। বেজিংয়ের উত্তরের পরেই, হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিয়েছে, চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। চীন তাঁর হুঁশিয়ারি না মানায়, এবার আমেরিকা ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে চীন থেকে আমদানি করা দ্রব্যের উপর।