আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক দেশ ছেড়ে আরেক দেশ! এতদিন ভারতের উপর শুল্ক আরোপ নিয়ে বেজায় চিন্তিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারত কেন রাশিয়া থেকে তেল কেনে? আদতে ভারত তাতে কোন বিষয়ে মদত দিচ্ছে ঘুরিয়ে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে, সমাজমাধ্যমে নানা কথা বলছেন, পোস্ট করেছেন। তবে গত কয়েকদিনে সুর কিছুটা অন্য। এর মাঝেই আবার জানা গিয়েছে, এবার ভারত নয়, একটু সরে গিয়ে ট্রাম্পের নজর চীনে। চীনের পণ্যের উপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের আর্জি জানিয়েছেন ট্রাম্প। শনিবারই এই মর্মে চিঠি লিখেছেন ন্যাটো-র সদস্য দেশগুলিতে। সূত্রের খবর, ট্রাম্পের চীন নিয়ে চিন্তার কথা প্রকাশ্যে আসতেই পালটা জবাব দিয়েছে বেজিং।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাটো শরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দাবি, ওই দেশগুলি যেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চীনের উপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে এবং ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে মস্কোর উপরে। নিজেই ট্রুথ সোশ্যালে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন এই প্রসঙ্গে। তাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প 'সমস্ত ন্যাটো দেশ এবং বিশ্ব'-কে সম্বোধন করে লিখেছেন, ওয়াশিংটন রাশিয়ার উপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রস্তুত, তবে কেবল যদি ইউরোপীয় অংশীদাররা রাশিয়ার তেল ক্রয় বন্ধ করে এবং সমন্বিত পদক্ষেপে যোগ দেয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ন্যাটোর একাধিক দেশ রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ তেল কেনে, সেই পরিমাণ রীতিমতো হতবাক করার মতো। তথ্যও তাই। রাশিয়ার সবথেকে বেশি তেল যায় চীনের ঘরে। তারপরেই স্থান ভারতের। এই দুই দেশকে নিয়ে এই একই ইস্যুতে বিঁধছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তালিকায় তৃতীয়স্থানে থাকা তুরস্ক? ন্যাটোর সদস্য। ট্রাম্পের দাবি, ন্যাটো-র দেশগুলি চীনের উপর সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু করলেই একমাত্র থামতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেণ যুদ্ধ। সূত্রের খবর ট্রাম্পের এই শুল্ক-চর্চার মাঝেই জবাব দিয়েছে চীন। সাফ জানিয়েছে, চীন যুদ্ধ করে না, যুদ্ধের পরিকল্পনাও করে না।
আরও পড়ুন: আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু মালদহে, খুন না কি আত্মহত্যা? প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের
উল্লেখ্য, এর আগে, টানা ভারতকে বিদ্ধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে, গত কয়েকদিনে সুর কিছুটা নরম। সাম্প্রতিক তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করা “সহজ কাজ নয়” কারণ এটি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “দেখুন, ভারত ছিল রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রেতা। আমি ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছি, কারণ তারা রাশিয়া থেকে তেল কিনছে। এটা কোনও সহজ ব্যাপার নয়। এটি বড় একটি পদক্ষেপ, আর এতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি ইতিমধ্যেই অনেক কিছু করেছি। আর মনে রাখবেন, এটা ইউরোপের সমস্যা, আমাদের চেয়ে অনেক বেশি।”
ট্রাম্প ফের একবার নিজের কাজের তারিফ করতে গিয়ে বলেন, “আমি সাতটা যুদ্ধ সমাধান করেছি। আমি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যেকার উত্তেজনা-সহ অনেক কিছু সমাধান করেছি। যেগুলো অসম্ভব মনে করা হত যেমন কঙ্গো আর রুয়ান্ডা। আমি তা সমাধান করেছি। এটি ৩১ বছর ধরে চলছিল, লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আমি এমন যুদ্ধও শেষ করেছি, যেগুলোকে বলা হত সমাধান অযোগ্য।”
