আজকাল ওয়েবডেস্ক: থাইল্যান্ডের ব্যাংককের পাশাপাশি এখন জাপানের রাজধানী টোকিওও ধীরে ধীরে যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসছে। ইয়েনের মান কমে যাওয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যটনের ঊর্ধ্বগতির ফলে বিদেশি পুরুষদের আনাগোনা বেড়েছে শহরটিতে। জাপানের ইয়ুথ প্রোটেকশন সংগঠন ‘সেইবোরেন’-এর সেক্রেটারি জেনারেল ইয়োশিহিদে তানাকা জানান, "জাপান এখন আর আগের মতো ধনী দেশ নেই।" তিনি আরও বলেন, তার সংস্থার পাশের একটি পার্ক এখন যৌন বাণিজ্যের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন বহু বিদেশি পুরুষ ভিড় করছেন।
এই চিত্র উদ্বেগজনকভাবে মিল খাচ্ছে আরেকটি প্রবণতার সঙ্গে—অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে কিশোরী ও তরুণী নারীরা যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন। বিশেষত কোভিড-পরবর্তী আর্থিক সংকট এই প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করেছে। অনেকে দেনা শোধ করতে বা 'হোস্ট ক্লাব'-এ টাকা খরচ করতেই এমন পথে নামতে বাধ্য হচ্ছেন।
টোকিও মেট্রোপলিটন পুলিশ সম্প্রতি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে যৌন শিল্পে নারীদের নিয়োগ করছিল। পুলিশ জানায়, তাদের ৩৫০টিরও বেশি দোকানের সঙ্গে চুক্তি ছিল। ২০২৩ সালে টোকিওতে রাস্তায় যৌন ব্যবসায়ে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার মহিলাদের ৪৩% জানিয়েছেন, তারা হোস্ট ক্লাবের খরচ চালাতেই এই পেশায় এসেছেন। এদের ৮০% ছিলেন ২০-এর কোঠার মধ্যে, এমনকি কেউ কেউ ১৯ বছরেরও কম বয়সী।
আইনি ফাঁকফোকর ও দুর্বল নজরদারির কারণে এই নারীরা মারাত্মকভাবে হিংসা ও যৌন রোগের ঝুঁকিতে পড়ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশে যৌন পেশাকে আইনগত স্বীকৃতি দিয়ে সুরক্ষা ও নজরদারি বাড়ানো হলেও মানব পাচার রোধ করা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ।
