আজকাল ওয়েবডেস্ক: মনের মতো সঙ্গী খুঁজে পাননি। শেষমেশ নিজেকেই বিয়ে করলেন এক যুবতী। সেই বিয়েতেও ধুমধাম আয়োজন। বিয়ের আচার সব পালন করলেন তিনি। সেজে উঠেছিলেন বিয়ের পোশাকেও। কাছের মানুষদের সঙ্গে সেই বিয়েতে উদযাপনে মেতে উঠতে দেখা গেল যুবতীকে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, যুবতীর নাম লরা মেসি। পেশায় তিনি একজন ফিটনেস ট্রেনার। মনের মতো পাত্র খুঁজে না পাওয়ায় সাত বছর আগে নিজের সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৭০ জন নিমন্ত্রিত। রীতি মেনে সাদা রঙের গাউন পরেছিলেন তিনি। ছিল থ্রি টায়ার কেক।
২০১৭ সালে ইটালিয়ান এক সংবাদমাধ্যমকে লরা মেসি জানান, 'আমাদের প্রত্যেকের সবার আগে নিজেকে ভালবাসা উচিত। রাজপুত্র খুঁজে না পেলেই নিজের গল্পের কাহিনিতে তুমি নিজেই রানি হয়ে উঠতে পারো।' সাত বছর আগে লরা মেসির সেই বিয়ের কাহিনি আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
লরা মেসি জানিয়েছেন, নিজেকে বিয়ে করার পরিকল্পনা শুরু হয় ১২ বছরের সম্পর্ক ভাঙার পর। ৪০ বছরের জন্মদিনে আত্মীয় ও বন্ধুদের জানান, তিনি মনের মতো পাত্র খুঁজে পাননি। তাই নিজেকেই বিয়ের পরিকল্পনা করেছেন। যুবতী জানান, 'এবার থেকে কেউ আর আমার মুখের হাসি কেড়ে নিতে পারবে না। নিজেকে বিয়ে করার সাহস অনেকেরই নেই। এর জন্য কাছের মানুষদের সমর্থন প্রয়োজন হয়।'
প্রসঙ্গত, নিজেকে বিয়ে করার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০২২ সালে জুন মাসে ভারতের গুজরাটের এক তরুণী নিজেকেই বিয়ে করবেন বলে ঘোষণা করেন। তাঁর এমন ঘোষণা হইচই ফেলে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গুজরাটের ভদোদরা শহরের ২৪ বছর বয়সী এই তরুণীর নাম ক্ষমা বিন্দু। তিনি একজন কর্মজীবী।
বিন্দু জানিয়েছেন, হিন্দু বিয়ের ঐতিহ্যগত আচার-আনুষ্ঠানিকতা মেনেই তিনি ১১ জুন নিজেকে বিয়ে করবেন। নিজেকে বিয়ে করার উদ্দেশ্য কী? তা ঘিরে বলতে গিয়ে বিন্দু বলেন, তিনি সমাজের গৎবাঁধা রীতিনীতি ভাঙতে চান। যাঁরা সত্যিকারের ভালবাসা, সুপাত্র খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত, তাঁদের তিনি অনুপ্রাণিত করতে চান।
বিন্দুর দাবি, তিনি উভকামী (বাইসেক্সুয়াল)। ভারতে তিনিই প্রথম নিজেকে বিয়ে (সলোগামি) করতে চলেছেন। যদিও খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে নিজেকে বিয়ের করার কোনও আইনি ভিত্তি নেই।
এদিকে নিজেকে বিয়ে করার ধারণা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিন্দু বলেন, ‘জীবনের একটি পর্যায়ে বুঝতে পারি, আমার জীবনে কোনও রাজপুত্রের প্রয়োজন আমার নেই। কারণ, আমি নিজেই আমার নিজের গল্পের রানি। কনের মতো করে সেজেই আমি বিয়ে করব। সব আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হবে। বন্ধুরা আমার বিয়েতে আসবেন। বিয়ের আচার শেষে আমি আমার বাড়িতে ফিরে আসব।'
নিজেকে বিয়ের পরিকল্পনা জেনে বিন্দুর মা এই বিয়েতে সম্মতি দিয়েছেন। বিন্দু বলেন, 'আমি ইতিমধ্যে আমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য একজন পুরোহিত ঠিক করেছি।' বিন্দুর বিয়ে করার সিদ্ধান্তের কথাও শোরগোল ফেলেছিল গোটা রাজ্যে।
