আজকাল ওয়েবডেস্ক: করোনার কালো দিনগুলি আমাদের সকলের মনে রয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল এই রোগ। লকডাউনের গেরোয় ভুগেছে বিশ্ববাসী। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে পৃথিবী। চলছে স্বাভাবিক জীবন। তবে এখনও মানুষের মনে চিন্তা রয়েছে এরপর কী হতে পারে। কোন ধরণের রোগে আক্রান্ত হবে বিশ্ব। সেটি কী ধরণের রোগ হবে।
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া নাকি ছত্রাক। করোনার টিকা আবিষ্কার হওয়ার পর স্বস্তি ফিরেছে সকলের মধ্যে। জীবানু দ্বারা আক্রান্ত আরও তিনটি রোগ অর্থাৎ ম্যালেরিয়া, এইচআইভি এবং টিউবারকিউলোসিসকেও বাগে এনেছে মানুষ। তবে এই রোগগুলিও প্রচুর মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তবে এরপর কোন রোগের শিকার হতে পারে পৃথিবী তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে চিকিৎসকরা। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের।
এই ভাইরাস এমন একটি সমস্যা তৈরি করতে পারে যা থেকে নিজেকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব। ২০২৫ সাল দরজার যেখানে কড়া নাড়ছে সেখানে এই ভাইরাসের প্রভাব বাড়তে পারে গোটা বিশ্বে। এটি এইচ ফাইভ এন ওয়ান টাইপের। একে আরেকটি পোশাকি নাম বার্ড ফ্লু। এটি বন্য এবং গৃহপালিত পাখিদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পোলট্রি ফার্ম থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। মার্কিন দেশে এবং মঙ্গোলিয়ার বিভিন্ন পশুর ফার্ম থেকে এভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
চিকিৎসকরা মনে করছেন পাখিদের দেহ থেকে মানুষের দেহে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। চলতি বছরেই মার্কিন দেশে ৬১ জনের দেহে বার্ড ফ্লু-র দেখা মিলেছে। যাদের দেহে এটি দেখা গিয়েছে তারা প্রায় সকলেই পশুর খামারেই কাজ করেন। সেখান থেকেই তাদের দেহে এই ভাইরাস মিলেছে। এর আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল এক ব্যক্তির দেহ থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে অতি দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে মহামারির আকার ধারণ করতে এর বেশি সময় লাগবে না।
এই ধরণের ভাইরাস অতি সহজেই আমাদের দেহের কোষে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এরপর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অতি সহজেই নষ্ট করে দেয় এই ভাইরাস। একে রুখতে হলে এখন থেকেই বিভিন্ন পাখির খামারগুলিতে কড়া নজর রাখতে হবে। ব্রিটেন সরকার ইতিমধ্যেই ৫ মিলিয়ন এই ভাইরাসের টিকা নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করে ফেলেছে। ২০২৫ সালে যদি এই রোগ দ্রুত মহামারির আকার নেয় তাকে রোখার জন্য। তাই যদি এর থেকে বাঁচতে চান তাহলে খামারের পশু-পাখিদের উপর নজর রাখুন।
