আজকাল ওয়েবডেস্ক: থাইল্যান্ডের পাটায়ায় এক হোটেলে ভারতীয় পর্যটকদের সঙ্গে এক থাই বার-কর্মীর তীব্র বিবাদ ঘিরে রীতিমতো নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ১৮ জুলাই গভীর রাতে, তিন ভারতীয় পর্যটক পুলিশ ডাকেন এই অভিযোগে যে, যে মহিলাকে তাঁরা সঙ্গিনী হিসেবে এনেছিলেন, তিনি তাঁদের "অপেক্ষা অনুযায়ী আকর্ষণীয় নন"—বিশেষত তাঁর স্তনের আকার ও গড়ন তাঁদের "মনঃপূত হয়নি"।
রাত আড়াইটার দিকে পাটায়া পুলিশের কাছে ফোন যায়। ঘটনাস্থল, সোই পাটায়া বিচ ১১-তে অবস্থিত এক হোটেল। পুলিশ পৌঁছে দেখে, ৩৫–৪০ বছর বয়সী এক থাই নারী ঘরে চুপচাপ বসে রয়েছেন, আর ভারতীয় পর্যটকরা অভিযোগের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। ওই মহিলা জানান, প্রতি ব্যক্তির সঙ্গে ৩,০০০ বাথ চুক্তি হয়েছিল এবং আগাম ১,০০০ বাথ বার ফাইন হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল। হোটেলে পৌঁছে পুরুষরা তাঁর চেহারা নিয়ে আপত্তি তোলেন এবং অবশিষ্ট অর্থ না দিয়ে তাঁকে ঘর ছাড়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন: "তুমি কামের ফাঁদে পড়েছ"! নৈতিক অধঃপতনের অভিযোগে বরখাস্ত ৯ 'সন্নাসীকে' জানালো মঠ কর্তৃপক্ষ!
মহিলাটির বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি অবশিষ্ট অর্থ চেয়ে ঘর ছেড়ে দিতে রাজি হন। কিন্তু পর্যটকরা জানান, তাঁরা টাকা বদলাতে নিচে যাচ্ছেন—অথচ ফিরে আসেন পুলিশের সঙ্গে। পুলিশকে ওই তিন ভারতীয় জানান, তাঁরা ওই মহিলাকে সঙ্গিনী হিসেবে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি নগ্ন হওয়ার পর তাঁর শারীরিক গড়ন তাঁদের "প্রতারণা করা হয়েছে" বলে মনে হয়। ঘটনার জেরে পুলিশ উভয়পক্ষকে আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার শর্তে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে বলেন। শেষমেশ নারীটি আগাম নেওয়া ১,০০০ বাথ ফেরত দেন এবং পক্ষদ্বয় অভিযোগ না করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এই ধরনের ঘটনা থাইল্যান্ডে নতুন নয়। ফেব্রুয়ারিতে সঙখলা প্রদেশে এক ভারতীয় পর্যটকের সঙ্গে এক থাই রূপান্তরকামী মহিলার বিবাদ মারামারিতে রূপ নেয়। সেখানে পর্যটক সেবা প্রত্যাখ্যান করলে, রূপান্তরকামী ও তার সাথি তাঁকে মারধর করেন এবং তাঁর ১.২ লক্ষ বাথ মূল্যের সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে পালান। পরে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে এবং সোনার গয়না উদ্ধার করে। পাটায়ার ঘটনাটি সেসব বিতর্কিত পর্যটন সম্পর্কিত ঘটনার মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করল, যেখানে দেহব্যবসা, আকর্ষণ ও প্রতারণার প্রশ্নে দুই পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির সংঘর্ষ প্রকাশ্যে চলে এল।
