আজকাল ওয়েবডেস্ক: দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন দাদা। কিন্তু দাদার দ্বিতীয় বিয়ে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি বোন। নতুন বউদির সঙ্গে যদিও বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ তাঁর সঙ্গেই চরম বিশ্বাসঘাতকতা করলেন তরুণী। দাদা ও বউদির সব গোপন কথা ভাগ করে নেন দাদার প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক তরুণী সম্প্রতি ননদের সঙ্গে এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। তরুণী জানিয়েছেন, দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। তারপরেই যুবকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই বিয়ের আগেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। যুবকের দশ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। তাঁদের বিয়েতেও প্রথম স্ত্রীর সন্তান হাজির ছিল। 

তরুণী জানিয়েছেন, শুরু থেকেই ননদ তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে মেলামেশা করতেন। সকলের চোখে তাঁরা ছিলেন 'প্রিয় বন্ধু'। গোপন সব কথাই ননদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন। অ্যামি নামের ওই তরুণী একবারও বুঝতে দেননি, তাঁর আসল উদ্দেশ্য। দিনের পর দিন সব গোপন কথা জেনে যাওয়ার পরেই, চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেন তাঁর সঙ্গে। 

আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে অশ্লীল নাচের আসর, নর্তকীর সঙ্গে কোমর দোলাচ্ছেন এই রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রধান, চুমুও খেলেন! তারপর যা হল

তরুণী জানিয়েছেন, তাঁদের সব গোপন খবর যুবকের প্রাক্তন স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন অ্যামি। দু'জনের গোপন মুহূর্ত পর্যন্ত লুকিয়ে ভিডিও করে প্রাক্তন স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।‌ এখানেই শেষ নয়। দাদার দ্বিতীয় বিয়ের সব মুহূর্ত লাইভ করে, সোজা পাঠিয়ে দিতেন প্রাক্তন স্ত্রীকে। আসলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দাদার বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও, তাঁর সঙ্গে ননদের বন্ধুত্ব টিকে গিয়েছিল। নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁদের মধ্যে। 

বিয়েতে কী কী ঘটেছে, এমনকী তাঁদের কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দাদার প্রাক্তন স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেন অ্যামি। বিষয়টি প্রথমে কেউই টের পাননি। বিয়ের একবছর পর গত সেপ্টেম্বরে অ্যামির কীর্তি প্রকাশ্যে আসে। পরিবারের কয়েকজন সদস্য বিষয়টি দম্পতিকে জানিয়েও দেন। এরপরই অ্যামির থেকে মুখ ফেরান দম্পতি।‌ 

তরুণী ওই পোস্টে জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যামিকে ব্লক করে দিয়েছেন তিনি ও তাঁর স্বামী। ভবিষ্যতে কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে অ্যামিকে নিমন্ত্রণ জানানো হবে না বলেও জানিয়ে দেন। পরিবারের সদস্য হয়েও, আত্মীয়দের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, সহজে মেনে নিতে পারেননি কেউ। 

পোস্টটি ভাইরাল হতেই নেটিজেনরাও তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। একজন লিখেছেন, 'সঠিক পদক্ষেপ। এমন আত্মীয়কে জীবন থেকে দূরে রাখাই উচিত। এতে সংসারে শান্তি থাকে।' আবার একজন লিখেছেন, 'বন্ধুত্ব পাতিয়ে এমন বিশ্বাসঘাতকতা! নিশ্চয়ই আপনাদের উপর ঝড় বয়ে গেছে।' আবার একজন লিখেছেন, 'ননদের এমন আচরণের শিকার আমিও হয়েছি। আপনার সঠিক পদক্ষেপ করেছেন। এভাবে পারিবারের গোপন তথ্য পাচার করা অত্যন্ত অন্যায়।' 

কিন্তু অ্যামি কেন এমন আচরণ করেছেন? তরুণী ওই পোস্টেই জানিয়েছেন, অ্যামি দাদার দ্বিতীয় বিয়েটি মেনে নিতে পারেননি। বিয়ের দিন দাদার আগের পক্ষের সন্তানের সঙ্গে অ্যামি কাটান। বিয়ের দিন দুজনের উপরেই ঝড় বয়ে গিয়েছিল। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হলেও, কাউকে বুঝতে দেননি কিছুই। মনের মধ্যে ক্ষোভ রেখেই, প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে গোপন তথ্য পাচার করে দিয়েছিলেন।