আজকাল ওয়েবডেস্ক: শেখ হাসিনার ফাঁসির সাজা দিয়েছে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল কোর্ট। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সোমবার পাঁচ মামলায় ফাঁসির সাজা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। হাসিনার সঙ্গেই, ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে ওপার বাংলার প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে। পুলিশের প্রাক্তন মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন'কে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পরেই, বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার বিবৃতি জারি করে, এই রায়কে 'ঐতিহাসিক' বলেছিল।
সোমবারেই, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে লেখা হয়, 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আজকের রায়ে পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল জুলাই হত্যাকান্ডের জন্য অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এই ব্যক্তিদের দ্বিতীয় কোন দেশ আশ্রয় দিলে তা হবে অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার সামিল।'
দু'দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি মনে করিয়ে, বিদেশমন্ত্রক বিবৃতিতে লেখা হয়েছিল, 'আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন অনতিবিলম্বে দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে এটি ভারতের জন্য অবশ্য পালনীয় দায়িত্বও বটে।' প্রত্যর্পন চুক্তি প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, হাসিনা জমানাতেই দু'দেশের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছিল, ২০১৩ সালে। পরে, ২০১৬ সালে চুক্তি সংশোধন করা হয়, প্রত্যর্পন চুক্তিকে আরও সহজ করার লক্ষ্যে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকও একটি বিবৃতি জারি করে সোমবার। তাতে জানানো হয়, ‘ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থ বিশেষ করে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয় নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই লক্ষ্য পূরণে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করব।'
তবে, শেখ হাসিনা এখনও ভারতেই। ভারত হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর প্রসঙ্গে কোনও তথ্য জানায়নি এখনও সরকারি ভাবে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হাসিনাকে দেশে ফেরাতে এবার ইন্টারপোলের সাহায্য নিতে চলেছে ইউনূস সরকার অর্থাৎ বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার।
বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার সে দেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মহম্মদ ইউনূস। বুধবার মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) অডিটোরিয়ামে উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জানান, 'দেশবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত এই নির্বাচনকে সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ণ উৎসব এবং আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সেনাবাহিনীর সহায়তা একান্তভাবে কামনা করছি।'
