আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৪ সাল থেকেই রয়েছেন ভারতে। দিল্লিতে বসেই সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা জানালেন সে দেশের ভোট নিয়ে তাঁর দলের পরিকল্পনার কথা। রয়টার্স সূত্রে খবর, হাসিনা জানিয়েছেন, তিনি ওপার বাংলার লক্ষ লক্ষ ভোটারকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সামিল না হওয়ার কথা বলেছেন। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি এবং সিনিয়র আওয়ামী লিগ নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের কথা উল্লেখ করে সকল দলীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে।
মে মাসে, আওয়ামী লিগের স্বীকৃতি বাতিল করে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। এদিন হাসিনা মূলত বাংলাদেশে আওয়ামী লিগ'কে নিষিদ্ধ করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, 'পরবর্তী সরকারের অবশ্যই নির্বাচনী বৈধতা থাকতে হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ আওয়ামী লিগকে সমর্থন করে, তাই পরিস্থিতি যেমন দাঁড়িয়েছে, তারা ভোট দেবে না। যদি আপনি একটি কার্যকর রাজনৈতিক ব্যবস্থা চান, তবে আপনি লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবেন না।
একইসঙ্গে তাঁর নিজের অবস্থান প্রসঙ্গেও বড় বার্তা দিয়েছেন। রয়টার্স সূত্রে খবর, হাসিনা জানিয়েছেন, তিনি এমন কোনও নির্বাচিত সরকারের আমলে সে দেশে ফিরতে চান না, যে দল বা সরকার তাঁর দলকে স্বীকৃতি দেবে না। আওয়ামী লিগকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ভারতে থাকবেন বলেই বার্তা মুজিব কন্যার।
বাংলাদেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফাঁসির দাবি তুলেছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। গত বছরের ছাত্র-আন্দোলনে ভয়াবহ দমনপীড়নের ঘটনায় তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। এই ঘটনায় অন্তত ১,৪০০ জন নিহত হন, যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হিংসা বলে মনে করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম এর আগেই আদালতে বলেন, 'শেখ হাসিনার উচিত ১,৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া। কিন্তু যেহেতু তা সম্ভব নয়, অন্তত একবার মৃত্যুদণ্ডই ন্যায়বিচার।' তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা ইচ্ছাকৃতভাবে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করতে। অভিযোগ, একটি ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে শোনা গেছে, হাসিনা নিজে পুলিশ ও র্যাবকে নির্দেশ দিচ্ছেন— 'মারণ অস্ত্র ব্যবহার করো।'
