আজকাল ওয়েবডেস্ক: আলোর থেকে গতি কোথায় থাকতে পারে। উত্তর হল কোথাও নয়। তবে মহাকাশে এমন বহু বিষয় আছে যেখানে অবাক করা তথ্য এসেছে বিজ্ঞানীদের সামনে। সেখানে দেখা গিয়েছে এমন বেশকিছু বস্তু রয়েছে যারা মহাকাশে আলোর তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত চলতে পারে।
নাসার একটি প্রবন্ধ থেকে দেখা গিয়েছে বিশ্বে এমন অনেক ধূমকেতু রয়েছে যারা বহু বছর ধরে মহাকাশকে নিজেদের ঘর তৈরি করে ফেলেছে। সেদিক থেকে দেখতে হলে এরা অতি গতিশীল। এদের গতি তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। এরা সমগ্র মহাবিশ্বে ঝড়ের গতিতে ঘুরছে। এদের গতি এতটাই বেশি যে এরা আলোকে অতি সহজেই হার মানাতে পারে।
এই ধূমকেতুগুলি অনেক সময় মহাবিশ্বে ঘুরতে ঘুরতে সেখান থেকে ব্ল্যাক হোলে গিয়ে হারিয়ে যায়। তবে তার আগে এদের যে গতি থাকে তাতে এরা আলোকে হার মানিয়ে দিতে পারে। এমনকি ব্ল্যাক হোলের ভিতরে প্রবেশ করার পরও এদের গতি হয় আরও তীব্র। যেন অন্ধকারের বুক চিরে সেখান থেকে আলো এগিয়েছে ঝড়ের গতিতে।
এমনকি শক্তিশালী দূরবীন দিয়ে দেখা গিয়েছে মহাকাশে এই ধূমকেতুগুলি প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে। তাহলে প্রশ্ন উঠছে এরা কোথা থেকে নিজেদের তৈরি করছে। অনুমান করা হচ্ছে এরা কোনও বড় তারার অংশ। সেখান থেকে এরা নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে মহাকাশের বুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে মহাকাশের আবাক করা বিষয় হল এখানে সমস্ত গতিময় বস্তু নিজের গতি হারায়। তবে কীভাবে এই ধূমকেতুগুলি এতটা গতিতে মহাকাশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ছে। যদি মহাকাশে এদের এতটা গতি থাকে তাহলে এরা যদি কোনও গ্রহের বুকে আছড়ে পড়ে তাহলে এরা তার কতটা ক্ষতি করতে পারে। সেই এখন বড় চিন্তা বিজ্ঞানীদের মনে।
এই রহস্য কীভাবে সমাধান করা যাবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিরাট জল্পনা। যদি মহাকাশে এই ধূমকেতুদের বাড়বৃদ্ধি ঘটতে থাকে তাহলে সৌরমন্ডলের সমস্ত গ্রহের পক্ষে তা মোটেই সুখকর হবে না। বিশেষ করে পৃথিবীর মতো প্রাণচঞ্চল গ্রহের কাছে।
