আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১১ বছরের ছাত্রকে দিনের পর দিন যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২৭ বছরের শিক্ষিকা। এবার আদালত শিক্ষিকাকে ন'বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল। শিক্ষিকা বিবাহিত ছিলেন। ক্লাসরুমেই নাবালক ছাত্রকে যৌন হেনস্থা করতেন বলে পরিবার অভিযোগ জানিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অ্যানা প্লাকসিউক রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের টকসভো শহরের এক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, ক্লাস শেষ হলে অন্যান্য ছাত্রদের যেতে বললেও, ওই ছাত্রকে আটকে রেখেছিলেন। এরপর ফাঁকা ক্লাসরুমে ছাত্রকে তাঁর স্তন ছুঁতে জোর করেন। ঠোঁটে চুমু খেতেও জোরাজুরি করেন। নির্জনতার সুযোগে ছাত্রের যৌনাঙ্গ স্পর্শ করেন।
এখানেই শেষ নয়। ছাত্রের ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ঘেঁটে তার মা জানতে পারেন, দিনের পর দিন অ্যানা নগ্ন ছবি পাঠাতেন। ছাত্রকেও নগ্ন ছবি পাঠানোর জন্য জোর করতেন। অশ্লীল মেসেজ পাঠাতেন রোজ রাতে। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর অ্যানা জানান, ২০২৩ সাল থেকে ওই ছাত্র তাঁকে উত্যক্ত করত। প্রায়ই ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করত। অবশেষে ছাত্রের সঙ্গে কথোপকথন শুরু হয় তাঁর।
ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৪ সালে অ্যানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে সম্প্রতি। এবার ন'বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল তাঁকে।
