আজকাল ওয়েবডেস্ক: নুন যেকোন রান্নাঘরের সবচেয়ে অরপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ মশলা। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই সাধারণ নুন সস্তা দামে পাওয়া যায়। তবে কিছু বিরল লবণ অবিশ্বাস্য দামে বিক্রি হয়। এরকম একটি বিদেশি নুন হল কোরিয়ান বাঁশের লবণ। এছাড়াও এই নুন বেগুনি বাঁশের লবণ বা জুগিয়েওম নামেও পরিচিত। কোরিয়ান ব্যাম্বু লবণের দাম আকাশছোঁয়া। ২৫০ গ্রামের জন্য খসাতে হবে ১০০ ডলার (৮,৮১১ টাকা)। অর্থাৎ কেজি প্রতি এই নুনের দাম ৩৫,২৪৬ টাকা (৪০০ ডলার)!

কোরিয়ান বাঁশের লবণ এত দামি কেন?
কোরিয়ান সুস্বাদু খাবার রান্নার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী কোরিয়ান ঔষধের প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত কোরিয়ান বাঁশের লবণ বিশ্বের সবচেয়ে দামি লবণ, যা প্রতি কেজি ৪০০ ডলারে বিক্রি হয়। কিন্তু কোরিয়ান বাঁশের লবণ এত দামি কেন? এর উত্তর নিহিত আছে এই লবণের প্রস্তুতির মধ্যে। অত্যন্ত এক জটিল প্রক্রিয়ায় এই লবণ তৈরি করা হয়। 

কোরিয়ান বাঁশের লবণ কীভাবে তৈরি করা হয়?
বাঁশের মধ্যে সমুদ্রের নুন জমাট করে ভরে পাইন গাছের জ্বালানিতে উচ্চ তাপে এই বাঁশকে ন'বার ভাল করে পোড়ানো হয়। পোড়ানোর পরে নুন যখন বাঁশের ভিতরে ডেলা পাকিয়ে যায়, তখন সেটিকে বের করে আনা হয় এবং গুঁড়ো করে আরেকটি বাঁশের মধ্যে ভরে দেওয়া হয়। আরও একবার সেই নতুন বাঁশটিকে পোড়ানো হয়। সর্বোচ্চ ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে পোড়ানো হয় এই বাঁশকে। এরপরেই নুনের মধ্যে নীল, হলুদ, কালো রঙের কেলাস দেখা যায় এবং এর বিশেষ স্বাদ তৈরি হয়। ১৫০০ ডিগ্রি তাপে বাঁশকে ৯ বার পোড়ালে এই নুনের রঙ হয় সম্পূর্ণ বেগুনি। একে বলা হয় 'পার্পল ব্যাম্বু সল্ট'। 
  
পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত শ্রমসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ, সম্পূর্ণ হতে ৫০ দিনেরও বেশি সময় লাগে। নুন পোড়ানোর কাজের জন্য ব্যবহৃত বিশেষ চুল্লি পরিচালনা করতে দক্ষ কারিগরদের কাজে লাগানো হয়। ফলে কোরিয়ান ব্যাম্বু লবণের দাম খুব বেশি। 

আরও পড়ুন: রাতারাতি কোটিপতি! বহুদিনের অভ্যাস বদলে দিল জীবনের গল্প

আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে গুঁড়িয়ে যাওয়া বিমানঘাঁটি পুনর্নির্মাণ করছে পাকিস্তান, ধরা পড়ল ভারতীয় উপগ্রহ চিত্রে ...