আজকাল ওয়েবডেস্ক: সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর। আন্দোলন থামাতে পুলিশি আক্রমণ, ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট সবই চলছে। তাতেও বাধ মানছে না আন্দোলন। এবার ইসলামাবাদের ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে ঢুকে কার্যত তুলকালাম করল ইসলামাবাদের পুলিশ। অভিযোগ, প্রেস ক্লাবের মধ্যে ঢুকে সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে পুলিশ।
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ইসলামাবাদের কেন্দ্রে থাকা ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে হানা দেয় পুলিশ। অভিযোগ, যে যে সাংবাদিক আজাদ জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি (জেএএসি)-র ডাকা আন্দোলনের খবর করছিলেন, তাঁদের গ্রেপ্তার করার জন্য হানা দিয়েছে পুলিশ। জেএএসি-এর ডাকেই পাক ্ধিকৃত কাশ্মীরে শেহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ওই সংগঠনের সদস্যরা। সেই সময়েই পুলিশ হামলা করে। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, আন্দোলনকারী ভেবে প্রেস ক্লাবের ভিতরে ঢুকে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানো হয়েছে।
#BREAKING
— Ch.Amjad Ali (@saada186)
Interior Minister #MohsinNaqvi on Thursday ordered an inquiry into a raid carried out by #Islamabadpolice at the National Press Club (#NPC), where several #journalists were allegedly attacked.#pakustv #NYC #Journalismisnotacrime #PoliceBrutality #CCTV #videoviral pic.twitter.com/gbfFo90KSXTweet by @saada186
ইসলামাবাদের প্রেস ক্লাবে হামলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ব্যাটন হাতে প্রেস ক্লাবে ঢুকছে পুলিশ। ক্লাবের ক্যাফেটেরিয়ায় ঢোকে পুলিশ। সেখানে বেশ কয়েকজনকে লাঠির বাড়ি মারতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক চিত্রসাংবাদিক এক হাতে ক্যামেরা ধরে রয়েছেন, তাঁর কলার ধরে রয়েছেন এক পুলিশকর্মী।
পাকিস্তানের সাংবাদিক আনাস মল্লিক পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-কে জানিয়েছেন, প্রেস ক্লাব থেকে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করতে এসেছিল পুলিশ। হামিদ মির নামে আরও এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, ক্যাফেটেরিয়াতে ঢুকে সাংবাদিকদেরই টার্গেট করা হয়েছিল।
It is unbelievable to see @ICT_Police storming the National Press Club and assaulting journalists. How can they enter the premises of the press club without orders and assault journalists!
— Syed M Abubakar (@SyedMAbubakar)
Media is constitutionally protected & those who did it should be immediately suspended!! pic.twitter.com/lMmqWAUiHTTweet by @SyedMAbubakar
গোটা ঘটনার তীব্র সমালোচনা হয়েছে পাকিস্তানে। একাধিক মহল থেকে এর বিরোধিতা করা হয়েছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।
এই ঘটনাটি পাকিস্তানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার ক্রমবর্ধমান উদ্বেগকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।
