আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত ১১ সপ্তাহ ধরে গাজা দখল করার পর থেকে সেখানে ত্রাণ তহবিল পৌঁছনো নিয়ন্ত্রণ করছে ইজরায়েল। এর ফলে প্রাণ সঙ্কট দেখা দিয়েছে বহু শিশুর। জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি, ইজরায়েল যদি গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করতে না দেয় তাহলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রাণ হারাতে পারে ১৪ হাজার শিশু।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান টম ফ্লেচার জানিয়েছেন, সোমবার মাত্র ত্রাণ নিয়ে মাত্র পাঁচটি ট্রাক ঢুকতে পেরেছে গাজায়। যার মধ্যে শিশুখাদ্যও রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে গাজায় কোনও ত্রাণের গাড়ি ঢুকতে দিচ্ছিল না ইজরায়েল। অবশেষে আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের মতো মিত্র দেশগুলির চাপে পাঁচটি গাড়ি গাজায় ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই ত্রাণ এখনও সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছয়নি।
বিবিসি-র রেডিও ৪-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ১৪,০০০ শিশু মারা যাবে যদি আমরা তাদের কাছে পৌঁছাতে না পারি... যে সকল মায়েরা অপুষ্টিতে ভোগার কারণে তাঁদের সন্তানদের খাওয়াতে পারছেন না, তাদের কাছে সেই শিশুখাদ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরণের ঝুঁকি নিচ্ছি।“
সোমবার ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং কানাডার নেতারা গাজায় ইজরায়েলের ‘জঘন্য কর্মকাণ্ডের’ নিন্দা করার পর এবং মানবিক সাহায্যের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর জাতিসংঘের কর্মকর্তার এই মন্তব্য। এক যৌথ বিবৃতিতে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ইজরায়েলের সাহায্য বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন। এর পাশাপাশি ইজরায়েলের মন্ত্রীদের মন্তব্যেরও নিন্দা করেছেন যারা প্যালেস্তিনীয়দের উৎখাত করার হুমকি দিয়েছেন।
ইজরায়েলের বন্ধু দেশগুলির এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ফ্লেচার। এর পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, জাতসংঘ আশা করছে আরও ১০০টি ট্রাক মঙ্গলবারের মধ্যেই গাজায় পাঠাতে পারবে। যার মধ্যে শিশুখাদ্য এবং পুষ্টিকর খাবার রয়েছে।
গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে, রবিবার রাতে ইজরায়েলে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ১১ সপ্তাহের ভয়াবহ সাহায্য অবরোধ শিথিল করতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক কারণে’ গাজায় ‘ক্ষুধা সংকট’ রোধ করা ইজরায়েলের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল।
