আজকাল ওয়েবডেস্ক: বনি ব্লু। জন্ম ১৯৯৯। স্টাফলফোর্ডের মেয়ে। একটা সময় পরে যথেষ্ট পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিও বানানোর কারণে। ওনলি ফ্যান নামক ওই প্ল্যাটফর্মে ভিডিও বানানোর আগে, বনি ওয়েবক্যাম মডেল হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। পরপর একাধিক কারণে শিরোণামে আসার পর বনি যা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বসেছিলেন, তাতে ওনলি ফ্যান নামক ওই প্ল্যাটফর্ম তাঁর অ্যাকাউন্টটিও পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে এসবের মাঝেই নাকি ঘরও ভেঙেছে যুবতীর। সবকিছু মিলিয়ে, দীর্ঘদিন যৌন আবেদন এবং অ্যাডাল্ট ভিডিও বানানোয় পটু বনি নাকি এখন আর স্বাভাবিক সম্পর্কেও আর লিপ্ত হতে চাইছেন না। শারীরিক, মানসিক কোনওভাবেই কোনও সম্পর্কে আবদ্ধ করতে চাইছেন না নিজেকে। 

তবে সম্প্রতি ঘর ভাঙা ছাড়াও বনি  বেশ চর্চায় চ্যানেল ফোর-এর একটি ডকুমেন্টারির জন্য। যার নাম ‘থাউসেন্ড মেন অ্যান্ড মি: বনি ব্লু স্টোরি’। তিনি বেশ কিছু বিতর্কিত বিষয়েও স্পষ্টভাষী। গত বছর আইটিভির গুড মর্নিং ব্রিটেন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন যে, কীভাবে তিনি ছাত্রদের উত্তেজিত করে মাসে ৬০০,০০০ পাউন্ড আয় করেন, বহু ক্ষেত্রে এমন হয়, ওই পড়ুয়ারা তাঁর সঙ্গেই প্রথম যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছেন। বনি এক জায়গায় এও বলেন, তিনি জীবনে বেঁচে থাকার জন্য যাকিছু করেন, তাতে মত রয়েছে তাঁর বাবার।

আরও পড়ুন: সুনামিতে ফুঁসছে সমুদ্র, ঢেউ আছড়ে পড়ছে চতুর্দিকে, ঘোর বিপদে যদি জাহাজ থাকে মাঝসমুদ্রে, কী হতে পারে জানেন?

সম্প্রতি তাঁর বাবাও চর্চায়। কারণ, একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বনির বাবা তাঁর চ্যানেল ফোর-এর বিতর্কিত ডকুমেন্টারি অর্থাৎ তথ্যচিত্র দেখতে গিয়েছিলেন। যেখানে একাধিক জায়গায় তাঁদের উল্লেখও রয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের একেবারে শুরুর দিকে হইচই পড়ে বনির এক দাবি নিয়ে। জানুয়ারি মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন একটি ভিডিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা পোস্টে বনি দাবি করেন, তিনি ১২ঘণ্টায় বিছানায় সঙ্গ দিয়েছেন ১০৫৭জন পুরুষকে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি ভিডিওতে বলা সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত করেন, অর্থাৎ তিনি যে সংখ্যক পুরুষের কথা বলেছেন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, তা সত্য। বনির ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই একপ্রকার হইচই পড়ে যায়। নেটিজেনরা নানা ধরনের মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে সমালোচনা-আলোচনার মাঝেই জানা যায় বনি ওই কাজের মাধ্যমে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে তুলেছেন । এর আগে, ২০০৪ সালে লিসা স্পার্কসের একদিনের শয্যাসঙ্গী ছিল ৯১৯।  ২০২৫-এ এসে সেই রেকর্ড ভাঙেন বনি।
মূলত ১৮-১৯ বছরের তরুণরাই বনির ‘টার্গেট অডিয়েন্স’। তিনি মনে করেন এই ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিও, সত্যি নয়, আবার শিক্ষামূলকও নয়। জানা গিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিও বানানোর আগে, তিনি চাকরিতে নিয়োগের কাজ করতেন। এর আগে নানা সময়ে, একাধিক ভিডিও শেয়ার করে বনি জানিয়েছেন, কীভাবে এই কাজ করেন, কত টাকা রোজগার করেন, কীভাবে তাঁর দিন গুজরান হয়, মেকআপ কেনেন কোথা থেকে, কত টাকা দিয়ে, সেসব শেয়ার করেছেন। 

তারপরেই বনি জানান, আর হাজার নয়, এবার যৌনতায় মাততে চান দু’ হাজার পুরুষের সঙ্গে। জানা যায়, তাঁর এই ঘোষণার পরেই ওনলি ফ্যানস প্ল্যাটফর্ম বনির অ্যাকাউন্ট পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রহণযোগ্য ব্যবহার নীতি লঙ্ঘনের জন্য স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল
তাঁর অ্যাকাউন্টটি। একাধিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আচমকা নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশ ক্ষতির মুখে পড়েন অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তারকা। যদিও তিনি এখন অন্যত্র ভিডিও বানান বলেও খবর। 
সম্প্রতি টাইমস ম্যাগাজিনকে দেওয়া  সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, আপাতত প্রেম এবং ডেটিং থেকে সাময়িক বিরতি নিচ্ছেন তিনি। তাঁর কেরিয়ারের সঙ্গে প্রেম, মানসিক সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টি বেশ কঠিন বলেই একটা সময় পরে বুঝতে পেরেছেন তিনি।