আজকাল ওয়েবডেস্ক:  বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সমস্যা হল পরিবেশ দূষণ। প্রতিটি দেশ নিজেদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তবে সেখান থেকে তারা কতটা সফল হয়েছে তার হিসাব তুলে ধরল হু।


২০২৪ সালের খতিয়ান তুলে ধরে হু-য়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সাতটি দেশ রয়েছে যারা বাতাসের গুনমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছে। এই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দ্যা বাহামাস, বার্বাডোজ, গ্রেনেডা, ইস্তোনিয়া এবং আইসল্যান্ড।


গোটা বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সেখান থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে। দেখা গিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্বের সবথেকে দূষিত দেশ। হু-য়ের গাইডলাইন থেকে তাদের বাতাসের দূষণের মাত্রা ১৫ গুন বেশি। 


এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই বায়ুর মান একেবারে মাঝামাঝি অবস্থায় রয়েছে। ভারতে বায়ু দূষণের মাত্রা অনেকটা খারাপ বলে জানিয়ে দিয়েছে হু। সেখানে দূষণের দিক থেকে ভারতের অবস্থান পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ভারত যদি আগামীদিনে এই পরিস্থিতি থেকে বের না হয়ে আসতে পারে তাহলে সেটা ভারতের মতো জনবহুল দেশের পক্ষে অনেকটা ক্ষতিকর হবে বলেই মনে করা হয়েছে। 

 


হু-য়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যেসব দেশে জনসংখ্যা বেশি সেখানে দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে কম ঘনত্বের দেশে এই হার বেশ কম। পাশাপাশি সমুদ্র তীরের দেশগুলিতে দূষণের হার কম। সেজন্যেই অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে দূষণের হার অনেকটা কম ছিল। 

 


ভারত-চিনের মতো বিশাল দেশে যেখানে দূষণ প্রতিদিন তৈরি হয়েছে সেখানে এখানে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ নয় বলেই জানিয়ে দিয়েছে হু। তাদের মতে, যদি বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলি এখনই এবিষয়ে কাজ শুরু না করে তাহলে সেটা তাদের পক্ষে সুখের হবে না। 

 


প্রতিদিন বিশ্বের কার্বনের পরিমান বাড়ছে। সেদিক থেকে দেখতে হলে যদি বাকি দেশগুলি গাছের সংখ্যা না বৃদ্ধি করে তাহলে সেখানে দূষণকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। একমাত্র গাছ পারে সমস্ত ধরণের দূষণকে রুখতে। তারাই পারে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমান বাড়াতে। তাই সেদিক থেকে দেখতে হলে দরকার এখন থকেই সতর্কতা।