আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের মার্কিন মুলুকের মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান পার্টির এই জয়ে ভারতের কী লাভ হবে, নাকি ক্ষতি হবে, ফলাফলের আগে থেকেই তা নিয়ে চর্চা ছিল তুঙ্গে। ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে বিপুল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির সু-সম্পর্কের কথা বিশ্ব রাজনীতিতে অজানা নয়। মোদিও গতকাল ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাতে দেরি করেননি বিন্দুমাত্র। আর ট্রাম্প-জয়ে দেশের লাভ ক্ষতির মাঝেই উঠে আসছে ট্রাম্পের পুরনো কথা। যেখানে ট্রাম্প বলছেন তিনি ক্ষমতায় ফিরলে, হিন্দু এবং ভারতীয়রা সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে পাশে পাবে হোয়াইট হাউসের একজনকে।
ট্রাম্পের ওই ‘স্পিচ’ এখন উঠে আসছে সামনে। যেন মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ভুলে যেন না যান পুরনো কথা। ওই বক্তব্যে কী বলছেন ট্রাম্প? বলছেন, ‘আমি হিন্দু এবং ভারতের বড় অনুরাগী। আমি যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হব, তখন হিন্দু এবং ভারতীয়রা হোয়াইট হাউসে একজন প্রকৃত বন্ধুকে পাবেন। আমি সেই বিষয়ে নিশ্চিত করছি।‘ দুই দেশ তাঁর ক্ষমতা-কালে শুধু ভাল বন্ধু নয়, ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ হবে বলেও জানিয়েছিলেন ‘আশাবাদী’ ট্রাম্প। দুই দেশ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, নিশ্চিত করবে দুই দেশের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা, ভরা সভায় দাঁড়িয়ে আমেরিকা-ভারত সু-সম্পর্ক জানান দিতে বলেছিলেন সেকথাও ।
তবে একথা ট্রাম্প বললেন কবে? ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ আমেরিকা নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগে, নিউ জার্সিতে রিপাবলিকান হিন্দু কোয়ালিশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে একথা বলেছিলেন। সেই কথাই উঠে আসছে আবার।
 
 আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতি বিষয় নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন তাঁরা একটি বিষয়ে অবগত যে, ভারত–মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের পারদ সর্বদা ওঠানামা করেছে। তবে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ঠান্ডা যুদ্ধোত্তর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিশ্বায়নের প্রভাবে দুই উদারনৈতিক দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও বৈদেশিক সম্পর্ক অগ্রগতি হওয়ার দরুণ সম্পর্ক শক্ত হয়েছে। তবে নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর সময় ভারতের কূটনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্ক কেমন ছিল তা জানেন অনেকেই। আগামী দিনে কেমন হবে সম্পর্ক, চিন-কানাডা নিয়ে দুই দেশের অবস্থান প্রভাব ফেলবে কি না সেসব নিয়ে আলোচনার মাঝেই উঠে আসছে ট্রাম্পের পুরনো এক বক্তব্য।
