আজকাল ওয়েবডেস্ক: অপারেশন সিঁন্দুরের কয়েকদিন পরই পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচার ভেস্তে দিল সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির নিজস্ব নেতারাই। সম্প্রতি জইশ-ই-মহম্মদ কমান্ডার মাসুদ আজহারের পরিবারের ক্ষয়ক্ষতির কথা প্রকাশ করেছিলেন। তার পরেই লস্কর-ই-তইবার (এলইটি) এক শীর্ষ কমান্ডার প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন যে ভারতের অভিযানে ধ্বংস হয়েছিল সংগঠনের প্রধান ঘাঁটি—মারকাজ তইবা, মুরিদকে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে এলইটি কমান্ডার কাসিমকে ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে বলতে শোনা যায়, “আমি মুরিদকের মারকাজ তইবার ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছি, যেটি ভারতের আক্রমণে ধ্বংস হয়েছিল। আল্লাহর কৃপায় এখন এখানে আরও বড় আকারে নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এই মসজিদ ও ঘাঁটি আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবে।”

?ref_src=twsrc%5Etfw">September 19, 2025


ভিডিওতে কাসিমকে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। পাকিস্তান সরকার দাবি করেছিল, ওই ভবন বহু বছর ধরেই লস্করের ব্যবহার থেকে বাদ পড়েছিল। কিন্তু সন্ত্রাসী কমান্ডারের এই স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের দাবি মিথ্যা প্রমাণ করেছে।


অন্য একটি ভিডিওতে কাসিম পাকিস্তানের তরুণদের মুরিদকে এসে “দাওরা-এ-সুফফা” নামে পরিচিত সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। এই প্রশিক্ষণে ধর্মীয় প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি মৌলিক অস্ত্র প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। গত ৭ মে, জম্মু ও কাশ্মীরের পাহলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারতীয় সেনা অপারেশন সিঁন্দুর অভিযান করে। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মোট ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। আরেকটি ভাইরাল ভিডিওতে লস্কর-ই-তইবার ডেপুটি চিফ সাইফুল্লাহ কাসুরি প্রকাশ্যে পাকিস্তান সরকারের সহায়তার কথাও বলেন। কাসুরিকে বলতে শোনা যায়, “পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী আমাদের ধ্বংস হওয়া সদর দপ্তর পুনর্গঠনের জন্য অর্থ দিয়েছে।” এতে স্পষ্ট হয়ে যায়, পাকিস্তান সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির প্রতি প্রত্যক্ষ সমর্থন এখনও চালিয়ে যাচ্ছে।


ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার একটি ডসিয়ারে নিশ্চিত করা হয়েছে যে লস্কর নীরবে তাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত সদর দপ্তর পুনর্গঠন করছে। তাদের লক্ষ্য আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬—কাশ্মীর সংহতি দিবস-এ নতুন কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করা। দিনটিকে কেন্দ্র করে বড় সম্মেলনের পরিকল্পনাও রয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, নতুন ঘাঁটি আবারও সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ, মতাদর্শ ছড়ানো এবং হামলার পরিকল্পনার কেন্দ্র হয়ে উঠবে।

?ref_src=twsrc%5Etfw">September 17, 2025

এর আগে আরেক ভাইরাল ভিডিওতে জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলেছিলেন, বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় অভিযানে মাসুদ আজহারের পরিবার “ছিন্নভিন্ন” হয়ে গেছে। এমনকি তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির নিহতদের মৃত্যুমিছিলে সেনা জেনারেলদের পাঠিয়েছিলেন।