আজকাল ওয়েবডেস্ক: পৃথিবীর উপর থেকে শুরু করে জলের গভীর সর্বত্র নানা ধরণের প্রাণীরা রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে এমন কিছু গুন রয়েছে যা দিয়ে এরা সকলকে অবাক করতে পারে।
মালয়েশিয়ার গভীর জঙ্গলে এমন একটি প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যে সেখান থেকে বিজ্ঞানীরা একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছেন। এরা দেখতে অনেকটা গাছের মতো। মাটিতেই এরা চলে। তবে এদের দেখতে একেবারে গাছের মতো। এগুলি ধীরে ধীরে এক জায়গার মাটি থেকে অন্যত্র চলাচল করতে পারে। তবে তারা এই কাজটি এতটা চুপিসাড়ে করে যে সেখান থেকে এদের গতি বোঝা যায় না।
এরা দেখতে গাছের মতো হলেও ওরা সূর্য থেকে আলো নিতে পারে না। এরা মাটিতে থাকা কোনও ছোটো প্রাণী কাছে এলে সেগুলিকে খেয়ে নিয়ে বেঁচে থাকে। মানে হল এদের সামনে দিয়ে চলে যাওয়া যেকোনও প্রাণীকে এরা নিজের দিকে টেনে নেয়। অনেক সময় এরা এই কাজটি করে নিজের শাখাপ্রশাখা দিয়ে।
এদের দেখতে অনেকটা ছোটো ফুলের মতো। তাই বলে ফুল মনে করে যারা ভুল করবেন তাদের কপালে অনেক দুঃখ রয়েছে। এরা সবুজ রঙের নয়, এদের দেহের কোনও অংশ সূর্যের আলো থেকে শক্তি পায় না। তবে এরা ধীরে ধীরে নিজের বংশবিস্তার করে চলেছে। এদের দেখতে অনেকটা লণ্ঠনের মতো। এখান থেকে হাল্কা আলো বের হয়। সেই আলোর টানে পতঙ্গরা এদের দিকে চলে আসে। সেখান থেকে তারা এই লণ্ঠনের শিকার হয়ে যায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন পৃথিবীতে এই জাতীয় গাছ প্রায় বিরল। এদের সমান গুনের যে প্রাণীরা রয়েছে তারা সূর্যের আলো থেকে শক্তি পায়। তবে এই গাছেরা একেবারে নতুন একটি বিবর্তনের ধারা পেয়েছে। এবার এই গাছ থেকে নতুন ওষুধ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি সেটা হয়ে যায় তাহলে সেটি হবে একটি অবাক করা আবিষ্কার। এই ওষুধ থেকে বহু জটিল রোগের উত্তর হতে পারে।
