আজকাল ওয়েবডেস্ক: নাসার বিজ্ঞানীদের এবার মাথায় হাত। তারা ১৫৪ আলোকবর্ষ দূর থেকে আরেকটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। এই গ্রহটিকে তারা সুপার আর্থ বলে নাম দিয়েছেন। তবে সবথেকে অবাক করা তথ্য হল এই সুপার আর্থ থেকে বারে বারে নানা ধরণের সিগন্যাল আসছে। এই গ্রহটির নাম টিওআই ১৮৪৬ বি দেওয়া হয়েছে। এটি আকারে পৃথিবী থেকে প্রায় দ্বিগুন। ওজনে প্রায় চার গুন ভারী। 


নাসার টিইএসএস স্যাটেলাইট এই সুপার আর্থকে চিহ্নিত করেছে। এরপর এই গ্রহের দিকে নজর গিয়েছে নাসার বিজ্ঞানীদের। পৃথিবীর উত্তর আকাশের দিকে রয়েছে এই সুপার আর্থ। এর ওজন এবং আকার দেখে অনেকেই অবাক হয়েছে। এই একটি কারণেই একে অন্য গ্রহ থেকে অতি সহজেই আলাদা করা গিয়েছে। যেভাবে এর ছবি ধরা পড়েছে সেখান থেকে বোঝা গিয়েছে এই গ্রহটিতে প্রচুর বরফ রয়েছে। সেখানে অনুমান করা হচ্ছে সমুদ্র বা জল থাকতে পারে। 


যদিও কয়েকজন গবেষক মনে করছেন এই গ্রহের তাপমাত্রা ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে মনে করছেন গবেষকরা। তবে এরপরও সেখানে জল থাকতে পারে। অন্ধকারের মধ্যে থেকেও এই গ্রহটি অন্যদের থেকে এতটাই উজ্জ্বল যে সেখান থেকে একে দেখা অনেকটা সহজ হয়েছে। 


বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই ভীষণ তাপমাত্রার পরও যখন সেখানে জল রয়েছে তার মানে হল সেখানকার পরিবেশ একেবারে উত্তপ্ত। তবে সবথেকে অবাক করা বিষয় হল সেখান থেকে মাঝে মাঝেই সিগন্যাল আসছে পৃথিবীর দিকে। এই সিগন্যাল নাসার স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে। যেন সেখান থেকে কোনও প্রাণীরা পৃথিবীকে দেখতে পেয়েছে এবং তারা এখানকার খবর জানার জন্য সিগন্যাল দিচ্ছে। যদি সেটাই হয় তাহলে সেখানে কী ভিনগ্রহের প্রাণীরা থাকতে পারে। সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে। 


সুপার-আর্থের বৈশিষ্ট্য: এগুলি পাথুরে বা গ্যাসীয় উভয়ই হতে পারে। এগুলি আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলির চেয়ে আকারে বড়, তবে নেপচুন এবং ইউরেনাসের মতো বরফের দৈত্যাকার গ্রহগুলির চেয়ে হালকা। এদের পৃষ্ঠে জল থাকতে পারে, যা জীবন ধারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। 


সুপার-আর্থের গুরুত্ব: এগুলি পৃথিবীর মতো গ্রহের গঠন এবং বিবর্তন সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। কিছু সুপার-আর্থ বাসযোগ্য অঞ্চলে থাকতে পারে, যার অর্থ সেখানে তরল জলের উপস্থিতি থাকতে পারে এবং জীবনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ থাকতে পারে। তাই, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সুপার-আর্থ গ্রহগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, যা আমাদের সৌরজগতের বাইরে জীবনের সন্ধান করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

আরও পড়ুন: পার্সোনাল লোনের সুদে বড় বদল, জেনে নিন কয়েকটি ব্যাঙ্কের খতিয়ান


সংক্ষেপে, সুপার-আর্থ হল এক ধরনের এক্সোপ্ল্যানেট, যা আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত এবং পৃথিবীর চেয়ে বড়, তবে নেপচুন-এর চেয়ে ছোট। এদের গঠন এবং বাসযোগ্যতা সম্পর্কে গবেষণা করে, আমরা মহাকাশে জীবনের সম্ভাবনা সম্পর্কে আরও জানতে পারি।


তবে যেভাবে এই সুপার আর্থ থেকে সিগন্যাস আসছে তাতে সেখানে প্রাণ থাকতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে। যদি সেটাই হয় তাহলে সেখানকার এলিয়নদের সঙ্গে মানুষের দেখা হয়তো খুব দ্রুত হবে। এবার তারা পৃথিবীর সঙ্গে কেমন ব্যবহার করবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এর উত্তর রয়েছে সময়ের গর্ভেই।