আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভূমিকম্পে তছনছ মায়ানমার। সে দেশের তথ্য, এখনও পর্যন্ত ১৬৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহুমানুষ আহত, নিখোঁজ বহু। চলাছে উদ্ধারকার্য। এই পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সেখানে গৃহযুদ্ধে সাময়িক বিরতি ঘোষণা করেছে সরকার বিরোধী পক্ষ। গত কয়েকবছর ধরেই পিপল্‌স ডিফেন্স ফোর্স সে দেশের জুন্টার সরকারের বিরোধীতায় সরব। দেশের বহু জায়গা সরকার বিরোধীদের দখলে চলে গিয়েছে গত কয়েকবছরে। কিন্তু ভূমিকম্পে তছনছ সেসব এলাকায় যাতে উদ্ধারকার্য, কিংবা ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছনোয় কোনও সমস্যা না নয়, সেদিক নজর রেখেই, পিডিএফ ৩০ মার্চ অর্থাৎ রবিবার থেকে দু’ সপ্তাহের জন্য সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে।

শুক্রবার সকালে মায়ানমারে পরপর ভূমিকম্প হয়। কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৭। তথ্য, ভুমিকম্পের পর অন্তত ১৪বার আফটার শক অনুভূত হয়। মার্কিন জিওলজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, মায়ানমারের মান্দালয়ে ভূমিকম্পের উৎস ছিল। উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি নীচে। 

 ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী নেপিদ। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে মায়ানমারের বিস্তৃত এলাকার বাড়িঘর, স্মৃতিসৌধ, মসজিদ। উপড়ে গিয়েছে শয়ে শয়ে গাছ। ফাটল ধরেছে রাস্তায়, সেতুতে। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, মোবাইলের টাওয়ার। বহু এলাকা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। হাসপাতাল গুলিতে ভিড়। শনিবারেই সে দেশে জারি জরুরি অবস্থা। পরিস্থিতি বিচারে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ভারতও। 

মায়ানমারের সরকারি তথ্য, শুক্রবারের ভূমিকম্পের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৬৪৪ জনের প্রাণ গিয়েছে। ৩৪০৮জন আহত, এখনও খোঁজ মেলেনি বহু মানুষের। থাইল্যান্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭, ব্যাংককে নিখোঁজ ৮৩জন, আহত অন্তত ৩০।