আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাড়াতেই বেকারি। সেখানকার কুকিজ অন্যতম প্রিয়। অথচ যুবক জানতেনই না, ওই বেকারির মালকিনের সঙ্গেই তাঁর রক্তের সম্পর্কের কথা। যে ঘটনার কথা জেনে অবাক যুবক।
মিস লিন্ডসে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। ১৮৭৪-এ হান্টারের জন্ম দিলেও, পারিবারিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল দিনেদিনে। প্রবল আর্থিক সংকটের মাঝে দাঁড়িয়ে নিতে হয়েছিল চরম সিদ্ধান্ত।ছেলেকে দত্তক দিয়েছিলেন তিনি। আর প্রায় পাঁচ দশক পর খোঁজ মিলল সেই ছেলের।
হান্টারের বয়স এখন প্রায় ৫০। শিকাগোর সাউথ শোরের এই ব্যক্তি জানতে পারেন, যেখানে তিনি বড় হয়েছেন, সেখানে তিনি দত্তক নেওয়া সন্তান। বছর খানেক আগেই, এই তথ্য জানার পর থেকেই, হন্যে হয়ে খোঁজ করছিলেন জন্মদাত্রী মায়ের। সালটা ২০২২, ক্যালিফোর্নিয়ার জেনেটিক বংশতত্ত্ববিদ গ্যাব্রিয়েলা ভার্গাস হান্টারকে কার্যত তাঁর মা-কে খুঁজে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তাঁর অন্যতম প্রইয় বেকারির মালকিনই আদতে তাঁর মা।
'গিভ মি সাম সুগা’ বেকারির মালিক ৬৭ বছর বয়সী লেনোর লিন্ডসের কথা বলেন তিনি৷ হান্টারকে লিন্ডসের নম্বরও দেন তিনিই। অন্যদিকে লিন্ডসে তখন আক্রান্ত মারণ ক্যান্সারে। চিকিৎসায় স্তনের অস্ত্রোপচারের পর কেমোথেরাপির জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। সেরকম এক দিনে ফোন আসে তাঁর কাছে। সব জানতে পেরে ফোন করেন হান্টারকে। ছেলেকে পরিবারের তৎকালীন আর্থিক দুরাবস্থার কথা বলেন, বলেন কীভাবে নিজের সন্তানকে দূরে ঠেলে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। আপাতত হান্টার মায়ের সঙ্গে এবঙ্গ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। মায়ের বেকারি চালাচ্ছেন মন দিয়ে।
