আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৬ বিলিয়ন মানুষের লগ ইন তথ্য ফাঁস, গবেষক, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের ইতিহাসে এত বৃহৎ, বড় মাপের তথ্য চুরির ঘটনা আগে ঘটেনি। এবং এই ঘটনা কেবল তথ্য চুরির মধ্যেই আটকে নেই, এই ঘটনা ব্যাপক এক্সপ্লয়টেশনের ব্লুপ্রিন্ট আদতে।

 

একাধিক সর্বভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য চুরি এবং ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে বলা হয়েছে, ১৮৪ মিলিয়ন রেকর্ডের একটি রহস্যময় ডেটাবেস ওয়েব সার্ভারে অসুরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। কী হতে পারে এতে? অর্থাৎ এই ঘটনায় ভয়াবহতা কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে সাধারণ মানুষের উপর? ফোর্বসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্য ফাঁস অ্যাপল, ফেসবুক এবং গুগল থেকে শুরু করে গিটহাব, টেলিগ্রাম এবং বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা, কল্পনাযোগ্য যে কোনও অনলাইন পরিষেবার দরজা খুলে দিতে পারে জালিয়াতিদের কাছে। সেসব তথ্য জালিয়াতিরা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণকাজে এই তথ্য ব্যবহার করতে পারে জালিয়াতিরা। 

 

এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের কী করণীয়?

এই ধরনের ডেটা লঙ্ঘনের কারণেই গুগল ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড এবং টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA)-এর মতো পুরনো সাইন-ইন পদ্ধতি থেকে সরে এসে তাদের জিমেইল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা আপগ্রেড করার পরামর্শ দিচ্ছে। টেক জায়ান্টটি ব্যবহারকারীদের তাদের অ্যাকাউন্টের উপর আরও ভাল নিয়ন্ত্রণের জন্য পাসকি এবং সোশ্যাল সাইন-ইন পদ্ধতিতে আপগ্রেড করার বার্তা দিয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক কোম্পানিটি বলেছে, 'এমনকিছু ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ যা আপনার অ্যাকাউন্টকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুরক্ষিত করে এবং আপনাকে স্ক্যাম থেকে রক্ষা করে।' পাসকি হল একটি লগইন সিস্টেম, যা স্মার্টফোনের মতো বিশ্বস্ত ডিভাইসের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড প্রতিস্থাপন করে। গুগল পাসকিগুলিকে "ফিশিং প্রতিরোধী" হিসাবে দেখে, যা ব্যবহারকারীদের তাদের ডিভাইস আনলক করার জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতির মাধ্যমে লগ ইন করতে সাহায্য করতে পারে, যার মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্বীকৃতি, ফেস স্ক্যান বা প্যাটার্ন লক অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।