আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০১১ সাল থেকেই বাশার-আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন সিরিয়ার সাধারণ মানুষ। দিনে দিনে যেমন বাড়তে থাকে ক্ষোভের পরিমাণ, তেমনই সেই ক্ষোভ দমাতে আরও কঠিন হয় সরকার। প্রাণ যায় বহু, বহু মানুষের খোঁজ মেলেনা। অহরহ মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হত একসময়ে।

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের অবসান পতন হয়েছে। পরবর্তীকালে সিরিয়ার উপর এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছ ইজরায়েল। এসবের মাঝেই সিরিয়ায় খোঁজ মিলেছে আরও এক গণকবরের। এর আগেও গত কয়েকবছরে বেশ কয়েকটি গণকবরের খোঁজ মিলেছিল। এবার সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের উপকণ্ঠে একটি গণকবরের খোঁজ মিলেছে। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালে মূলত ওই অঞ্চলে গণকবর দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। 

সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সিরিয়ায় যে পাঁচটি গণকবরের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, তাদের মধ্যে একটি দামাস্কার উপকন্ঠে। দামাস্কা থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তরে আল-কুতায়ফা শহরের উপকন্ঠে একসঙ্গে কবর দেওয়া হয়েছিল অন্তত এক লক্ষ মানুষকে। অর্থাৎ একই জায়গায়, মাটিতে একসঙ্গে পুঁতে ফেলা হয়েছিল বিশাল সংখ্যক মানুষকে। ঘটনায় রীতিমত শিউরে উঠছেন সাধারণ মানুষ।

অনেকের মতে, বাশার-আল-আসাদ-এর সময়কালেই এই ভয়াবহ এবং নারকীয় অত্যাচার চলেছে সাধারণ মানুষের উপর। সেই নির্মন অত্যাচারের সাক্ষী এই গণকবর। এই ধরনের আরও গণকবর সিরিয়ায় রয়েছে বলে বলে মত অনেকের।