আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের সংবাদ শিরোনামে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনশাসনেস (ইসকন)। এবার লন্ডনে ইসকনের রেস্তোরাঁ গোবিন্দ-য় আমিষ খাওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। (যদিও ভাইরাল ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন)। নিন্দায় সরব হয়েছেন ভক্তরা।
ভাইরাল ভিডিও-তে কী দেখা যাচ্ছে?
আফ্রিকান-ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এক যুবক ইসকনের সুপরিচিত নিরামিষ রেস্তোরাঁ গোবিন্দের ভিতর প্রবেশ করছেন। জিজ্ঞাসা করছেন যে, তারা মাংস পরিবেশন করেন কিনা। কর্মীরা যখন যুবকটিকে জানান যে, ওই রেস্তোরাঁয় কোনও মাংস, পেঁয়াজ বা রসুন দেওয়া খাবার পাওয়া যায় না, তখন ওই যুবক একটি কেএফসি-র প্যাকেট বার করেন। এবং সেখান থেকে মুরগির ভাজা টুকরো বের করে রেস্তোরাঁর ভেতরেই খেতে শুরু করেন।
কথোপকথনে শোনা যাচ্ছে যে, যুবক বলছেন- "হায়, এটা কি নিরামিষ রেস্তোরাঁ?" রেস্তোরাঁর একজন কর্মী উত্তর দেন, "হ্যাঁ।" তারপর ছেলেটি আবার প্রশ্ন করেন, "তাহলে, এখানে কোনও মাংস নেই - এখানে কিছুই নেই?" যার উত্তরে রেস্তোরাঁ কর্মী নিশ্চিত করেন, "মাংস নেই। পেঁয়াজ নেই। রসুন নেই।" কিছুক্ষণ পরে, তিনি কেএফসি-র বাক্সটি খুলে ভিতরে খেতে ভাজা চিকেনের টুকরো খেতে শুরু করেন। একই সঙ্গে কর্মী এবং অন্যান্য গ্রাহকদেরও তা দেন।
একজন গ্রাহক ছেলেটিকে তখন বলেন, “মাফ করবেন, আপনি যা করছেন তা এই স্থানের নিয়ম লঙ্ঘন করছে, এবং এটা ন্যায্য নয়।” তবে, নিরাপত্তা বাহিনীকে ডেকে আনা না হওয়া পর্যন্ত ছেলেটি খেতেই থাকেন। অবশেষে তাকে রেস্তোরাঁ থেকে বার করে দেওয়া হয়।
Horrendous. ????????
— Tathvam-asi (@ssaratht)
This African-British youth entered into ISKCON’s Govinda restaurant - knowingly that it’s pure Veg restaurant - asked if there’s meat available, then pulled out his KFC box and not only ate chicken (chewed like a ????), but also offered others working/eating in… pic.twitter.com/TtPJz9Jg7mTweet by @ssaratht
এই ঘটনাটি তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন যে, এই কাজটি বর্ণবাদী উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাকি ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল?
একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, “আশা করি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করা যাবে কি না জানি না, তবে এটা হিন্দুদের প্রতি বিশুদ্ধ ঘৃণা। তিনি জানেন হিন্দুরা প্রতিশোধ নেবে না, তাই তিনি এটা করার সাহস করেছেন।”
আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “যেকোনও রেস্তোরাঁয় বাইরের খাবার আনা নিষিদ্ধ। ইসকনে মাংস আনা কেবল অসম্মানজনক নয় বরং আমরা যে নীতিগুলি মেনে চলি তার উপর আক্রমণ। পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।”
“এইভাবে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় রীতিনীতির ইচ্ছাকৃত লঙ্ঘন অসহিষ্ণুতার স্পষ্ট প্রদর্শন যা কোনও সভ্য সমাজে সহ্য করা যায় না” বলে দাবি করেছেন অন্য এক নেটিজেন।
আরও পড়ুন- পুরুষ নিষিদ্ধ এই দেশে! চারিদিকে রূপসী নারীর ছড়াছড়ি, সন্তান উৎপাদন হয় কীভাবে? এ এক ইউটোপিয় দ্বীপ!
